২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
Advertisement
তাদের মতে, আগামী বাজেটে যে করের হার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়বে। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে; যা নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের উপর চাপ বাড়াবে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এসব বলা হয়। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় সিপিডির সম্মানিত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ সংস্থার অন্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রস্তাবিত করনীতি, ভ্যাট আইনের কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। ভোক্তার ব্যয় বাড়বে। এছাড়াও সরকারি ভোগ বাড়ানো হয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলেও সংশয় প্রকাশ তিনি। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাজেটে আমানতের উপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা ঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন দেবপ্রিয়।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এর আয় ও ব্যয়ের কাঠামোর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে।’
তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রসাশনিক কাঠামো দিয়ে বাজেটে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বাজেট বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সহায়তা দরকার। জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কিন্তু আমরা তা দেখছি না।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ নাম দিয়ে` আগামী অর্থবছরের (২০১৭-১৮) জন্য চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত এ বাজেট চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা থেকে ২৬ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা বেশি।
অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উপাদনের (জিডিপি) আকার ধরেছেন ২২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। আর জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ধরেছেন ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
এসআই/এনএফ/এমএস