অর্থনীতি

অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ : আমু

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দ্রুত শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এশিয়ার দেশগুলোতে উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে কর্মরত সংগঠনগুলোতে সামাজিক বিপণন এবং নেটওয়ার্কিং ধারণার প্রসার’ শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়নে সামাজিক বিপণন এবং নেটওয়ার্কিং ধারণা প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ইউরোপ ও আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতে এ ধারণা জনপ্রিয় করে ইতোমধ্যে সামাজিক কল্যাণ জোরদার করা সম্ভব হয়েছে। সামাজিক বিপণন ধারণা ব্যবসায়ের মুনাফা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোক্তা সাধারণের স্বার্থ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ জন্য জনগণের কল্যাণে উৎপাদনশীলতার পাশাপাশি ধারণাটি বাংলাদেশসহ এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনভূক্ত দেশগুলোতে জনপ্রিয় করার প্রয়োজন রয়েছে।’শিল্পমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ দ্রুত শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমু বলেন, ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে সরকারের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের প্রচেষ্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। সাধারণভাবে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ এবং বিশেষভাবে দেশের সাধারণ জনগণের জন্য মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় কল্যাণ সাধনে উৎপাদনশীলতা আন্দোলনের ইতিবাচক অবদান রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।শিল্পমন্ত্রী বলেন, সামাজিক বিপণন হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন এনে ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি সামগ্রিক সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব। সামাজিক বিপণন বৃহত্তর সম্প্রদায়ের কল্যাণে মানুষের আচরণিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কৌশলের সাথে প্রচলিত বিপণন পদ্ধতির সমন্বয় করে থাকে। এখানে একই সাথে ব্যক্তি ও সমাজের কল্যাণের প্রতি অগ্রাধিকার দেয়া হয়।অনুষ্ঠানে শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঞা বলেন, শিল্প ও সেবাখাতে উৎপাদনশীলতা যত বাড়বে, উৎপাদন খরচ তত কমবে। ফলে উৎপাদিত পণ্য ও সেবা বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা অর্জন করবে। এতে করে শিল্প উদ্যোক্তারা অধিক মুনাফা অর্জনের সুযোগ পাবেন। একই সাথে ক্রেতা-ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগতমানের সেবা ও পণ্য গ্রহণে সক্ষম হবেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।কর্মশালায় এপিও’র সদস্যভূক্ত দেশ কম্বোডিয়া, চীন, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও স্বাগতিক বাংলাদেশের মোট ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছে। দু’জন বিদেশি এবং একজন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ এ কর্মশালা পরিচালনা করবেন।শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম, জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এপিও) প্রতিনিধি মিজ হো থো নো, এনপিও’র যুগ্ম-পরিচালক আব্দুল বাকি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।এসকেডি/আরএস/আরআইপি

Advertisement