ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরল এক বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিচুক্তি চেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলি মন্ত্রিপরিষদের এই সদস্য অধিকৃত পশ্চিম তীর সফর করেছেন। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২২ ও ২৩ মে জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীর সফরের সময় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে পুনরায় শান্তি আলোচনা শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ সেসময় তাতে সম্মতি জানায়।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী মশি কাহলোন বুধবার রাতে রামাল্লায় পৌঁছেন। এরপর ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহর কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করেন।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন শান্তি চুক্তির ফলে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ৬০ শতাংশ এরিয়া সি’র পূর্ণ নিরাপত্তা ও বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইসরায়েলের হাতে। পশ্চিম তীরের বাকি অংশে ফিলিস্তিনি নিয়ন্ত্রণও সীমিত। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা দখল করে নেয় ইসরায়েল।
Advertisement
তবে ফিলিস্তিনি সরকারের মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কাহলোনের সফরের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৪ সালের পর ইসরায়েলের কোনো মন্ত্রী প্রথমবারের মতো রামাল্লায় সরকারি বৈঠক করলেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের পরও শান্তিচুক্তি ভেস্তে যায়।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সফরে উভয় পক্ষের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন ট্রাম্প। তবে কীভাবে সমঝোতায় আসা যায় সে ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেননি তিনি।
এই অঞ্চলে সফরের সময় আলাদাভাবে নেতানিয়াহু এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেসময় দু’দেশের নেতাদেরই শান্তি চুক্তির জন্য আহ্বান করেছিলেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স।
Advertisement
কেএ/এসআইএস/জেআইএম