ইরাকের মসুলে খ্রিস্টানদের একটি গির্জা পুননির্মাণে সহায়তা করেছে মুসলিমরা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই গির্জায় হামলা চালিয়েছিল। খবর আরব নিউজের।
Advertisement
ইরাকের মুসলিম স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের খ্রিস্টান প্রতিবেশীদের গির্জা সংস্কারে সাহায্য করে অসাম্প্রদায়িকতার পরিচয় দিয়েছেন। খ্রিস্টানদের প্রার্থনার জায়গা অাইএস ধ্বংস করে দিলে ভিন্ন মতাবলম্বী হয়েও তারা সংস্কার কাজে অংশ নিয়েছেন।
এই কাজের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন, ইরাক শুধু সুন্নিদের দেশ নয়; সব ধর্মের মানুষকে দেশটির নাগরিকরা স্বাগত জানাতে পারে।
মসুলের বাসিন্দারা তাদের খ্রিস্টান প্রতিবেশিদের বোঝাতে চান, ‘এই শহর ততোটাই তোমাদের, যতোটা আমাদের। ধর্ম আলাদা হওয়াটা কোনো ব্যাপার নয়; ধর্মের পার্থক্য আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে পারবে না।’
Advertisement
মসুল দখলে নেয়ার পর আইএস জঙ্গিরা সেখানকার বহু গির্জা, প্রাচীন গ্রন্থ ও ভাস্কর্য ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়েছে।
মসুলের বাসিন্দারা বলছেন, ২০১৪ সালে আবু বকর আল বাগদাদির নেতৃত্বে আইএস জঙ্গিরা সেখানকার খ্রিস্টানদের বাড়িঘরে রং দিয়ে আরবি অক্ষর নুন লিখে চিহ্নিত করে দিয়েছিল।
এরপর আল আরাবি জেলার মার জর্জ মঠের চ্যালডিয়ান গির্জায় হামলা চালিয়ে গির্জা ধ্বংস করে দেয় জঙ্গিরা। পরবর্তী সময়ে ওই এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, মুসলিমরা খ্রিস্টানদের ভোগান্তিতে ফেলছে।
এরপরই মুসলিম স্বেচ্ছাসেবীরা সিদ্ধান্ত নেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে তারা যে নির্দোষ সেটা সবাইকে দেখাবেন।
Advertisement
এরপর মুসলমানরা মিলে সেই গির্জা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে মেরামতে অংশ নেন।
কেএ/টিটিএন/পিআর