হঠাৎ কি সব এলোমেলো মনে হচ্ছে? বাংলাদেশ সমর্থকদের যারা প্রিয় দলকে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন, তারা খানিক চিন্তায়? প্রিয় দলের সম্ভাবনার বিপরীতে আপনিও কি শঙ্কিত? ‘গ্রুপ অফ ডেথে’ পড়ে প্রথম পর্বেই ছিটকে যাবে মাশরাফির দল? আদৌ কোন ম্যাচ কি জেতা সম্ভব? যদি জেতে তাহলে কাকে হারাবে?
Advertisement
অফিসিয়াল ওয়ার্মআপ ম্যাচে পাকিস্তান ও ভারতের সাথে হারের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে টাইগাররা? পাকিস্তানীদের সাথে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া আর ভারতীয়দের পেশাদার ও গাণিতিক অ্যাপ্রোচ এবং ধারালো ফার্স্ট বোলিংয়ের সামনে নেতিয়ে পড়া অবস্থার উত্তরণ কি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সম্ভব?
ভক্ত ও সমর্থকদের মনে নিশ্চয়ই নানা প্রশ্ন উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে। তা দিতেই পারে। তবে চিন্তিত হবার কিছু নেই। উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় পড়ে যাবার মতও কিছু হয়নি। ভুলে গেলে চলবে না, ভারতের সাথে ৩০মে ওভালে যে খেলাটা হয়েছে, সেটা নিছক গা গরমের ম্যাচ। যে খেলার জয়-পরাজয় আর ব্যক্তিগত পারফরমেন্স কিছুই ইতিহাসের খাতায় লিখা থাকবে না।
বরং ইতিহাসে আছে টাইগারদের আশাবাদী হওয়ার অনেক খোরাক। ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ১৯৯২ সালে যে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, ১৯৯২ সালের ১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে গ্রুৃপ ম্যাচে সেই ইংলিশদের কাছে মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ইমরান খানের দল। সৌভাগ্য পাকিস্তানীদের, বৃষ্টি এসে ম্যাচটি পন্ড হয়ে যায়। পুরো খেলা হলে অনিবার্য্যভাবেই হারতে হতো ইমরান খানদের। তার মানে কি, বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হওয়া দল সে ব্যর্থতা ঝেড়ে, না পারার গ্লানি ভুলে সামনে এগিয়ে গেছে। শুধু এগিয়েই যায়নি, বীরের মত পরের ধাপগুলো অতিক্রম সোজা ফাইনালে গিয়ে ঠিক ওই দলটাকে হারিয়েই দিয়ে হয়েছে বিশ্বসেরা।
Advertisement
এটা শুধু ক্রিকেটেই সম্ভব। তাই বাংলাদেশ আর পারবে না, সব সম্ভাবনা শেষ- ভেবে ভেবে যারা অস্থির। তাদের উদ্দেশ্যে বলা, পাকিস্তান যদি বিশ্বকাপের মত আসরে ৭৪ রানে অলআউট হয়ে ঘুরে দাড়াতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচে ৮৪ রানে অলআউট হবার পর ভেঙ্গে না পড়ে সামনে এগুতে পারবে না কেন? হতাশার বদলে অতীতের সাফল্যগুলোর সুখ স্মৃতির কথা মনে করলেই হয়ে যায়।
ব্যর্থতা ঝেড়ে মুছে ভাল করার আরও একটা বড় দৃষ্টান্ত আছে। সেটা অন্য কোন দলের নয়। টাইগারদেরই আছে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার পরের ম্যাচেই ঘুরে দাড়ানোর দারুণ রেকর্ড আছে বাংলাদেশের।
দিনটি ছিল ২০১১ সালের ৪ মার্চ। ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার কেমার রোচ (৩/১৯), অফস্পিনার সুলেমান বেন (৪/১৮) আর মিডিয়াম পেসার ড্যারেন স্যামির (৩/২১) সাঁড়াসি বোলিংয়ের মুখে মাত্র ১৮.৫ ওভারে পঞ্চাশের ঘরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাংলাদেশ।
জুনায়েদ সিদ্দিকী (২৫) আর মোহামম্মদ আশরাফুলই (১১) শুধু দুই অংকের ঘরে পা রেখেছিলেন। ওই ম্যাচে ৯ উইকেটের শোচনীয় হারের ধাক্কা সামলে ঠিক পরের ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দারুণভাবে জ্বলে উঠে ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারিয়ে দেয় টাইগাররা। সেটা মাত্র ছয় বছর আগের কথা।
Advertisement
অনুপ্রাণিত হবার খোরাক আছে আরও অনেক। খুব বেশি পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। দুই বছর আগে ঘরের মাঠে ভারতীয়দের কি নাকালটাই না করেছে মাশরাফির দল। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটিতে দাঁড়াতেই পারেনি ধোনির দল।
৩০মে ওভালে মাশরাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে যারা খেলেছেন- সেই কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, আজিঙ্কা রাহানে, ধোনি, অশ্বিন ও জাদেজা, ভুবেনেশ্বর আর উমেষ যাদব- সবাই ছিলেন ওই দলেও।
তাদের বিরুদ্ধে শেরে বাংলায় প্রথম ম্যাচে ৩০৭ রানের বড়-সড় স্কোর গড়ে ৭৯ রানের জয়। আর পরের খেলায় ভারতীয়দের ২০০ রানে বেঁধে ফেলে ৬ উইকেটের অনায়াস জয়ের সুখ স্মৃতি অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে আছে। কাজেই হতোদ্যম হবার কোনই কারণ নেই।
ক্রিকেটে মাঝে মধ্যে এমন হয়। একটি খুব খারাপ দিন যায়; কিন্তু সেটাই যে শেষ, তা নয়। ঘন মেঘে ঢাকা বৃষ্টি ভেজা আকাশেও কিন্তু সূর্য্য হাসে। তেমনি ভারতের সাথে একদিন খারাপ গেছে বলেই যে আর ভাল খেলা যাবে না, তাও নয়।
আসলে মাশরাফির দলের সামর্থ্য আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। এখন মনোবল ধরে রেখে সামর্থ্যরে প্রয়োগ ঘটানোই আসল। সে সামর্থ্য যে আছে, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।
গত দুই বছরে কাকে হারায়নি মাশরাফির দল? ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানো আর ঘরের মাঠে পরপর তিন সিরিজে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সিরিজ বিজয়। এরপর ইংল্যান্ড , শ্রীলঙ্কা এবং সবশেষে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর রেকর্ড আছে টাইগারদের।
এই তো সেদিন আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। তাও অল্প-সল্প স্কোরের পিছু ধেয়ে নয়। ২৭০ রানের বড় সড় স্কোরের পিছু ধেয়ে। ওই ম্যাচে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৬৫) আর সৌম্য সরকার (৬৫) জোড়া হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন। আর মাহমুদউল্লাহ (৪৬) ও মুশফিকুর রহীম (৪৫) দুজন দল জিতিয়ে বিজয়ীর বেশে ফিরেছেন সাজঘরে।
মোদ্দা কথা, একদিন ৮৪ রানে সবাই আউট হলেই শক্তি ও সামর্থ্য সব শেষ হয়ে যায় না। যায়নিও। আসল কথা হলো, সঠিক সময় জ্বলে উঠতে হবে। বাংলাদেশের সেই জ্বলে ওঠার সামর্থ্য আছে।
তার প্রয়োগ ঘটাতে কিছু আনুসাঙ্গিক উপাদান বা উপকরণ দরকার। প্রথম হচ্ছে উইকেট। অতি বড় ভক্তও মানেন, বাংলাদেশের সাফল্যে উইকেট সব সময় বড় ভুমিকা রাখে। ঘরের মাঠে স্লো ও লো ট্র্যাকে সাফল্য বেশি পেলেও, দেশের বাইরে শতভাগ ব্যাটিং উপযোগি পরিবেশ পেয়ে ভাল খেলার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের।
ব্যাটসম্যানদের বড় অংশ স্ট্রোক মেকার। তামিম, সৌম্য, সাব্বির, সাকিব ও মোসাদ্দেক- সবাই ফ্রি স্ট্রোক প্লে করতে ভালবাসেন। ভাল পারেনও। ব্যাটিং সহায়ক পিচ তাদের পয়োমন্তঃ।
যে উইকেটে বল চমৎকার গতিতে ব্যাটে আসে, বাউন্সও স্বাভাবিক থাকে এবং বল মুভ কম করে- সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাট হয়ে ওঠে খোলা তরবারি; কিন্তু বল স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত আসে, এদিক ওদিক সুইং করে। বিপজ্জনক বাউন্স, হঠাৎ মুখ, বুক, কাঁধ ও মাথা সমান উচ্চতায় লাফিয়েও ওঠে- এমন পিচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কখনই স্বচ্ছন্দবোধ করেন না।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচের কথা খেয়াল করুন, খেলা হয়েছে শতভাগ স্পোর্টিং উইকেটে। একদম আদর্শ ব্যাটিং উইকেট যাকে বলে। সেই উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ঠিক জ্বলে উঠেছেন। নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদির মত ভয়ঙ্কও ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে অনায়াস ও সাবলীল উইলোবাজির অনুপম প্রদর্শনী ঘটিয়ে ২৮৮ রানের বিশাল স্কোর গড়ে বসেন মাহমুদউল্লাহ (১২৮), সৌম্য সরকার (৫১) ও সাব্বিররা (৪০)।
সেটাই শেষ নয়। অ্যাডিলেডে জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, ক্রিস জর্ডান আর ওয়েক্সের সাজানো ইংলিশ ফাস্ট বোলারদের পিটিয়ে ২৭৫ রানের বড় স্কোর গড়ে ১৫ রানের অবিস্মরনীয় জয়ে মাঠ ছাড়ার অসামান্য কৃতিত্বও আছে মাশরাফি বাহিনীর।
এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টাইগারদের ব্যাটিং সাফল্যের বড় অংশ নির্ভর করছে উইকেটের ওপর। আইসিসির ইভেন্টে সাধারনতঃ উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হয়। আইসিসি অনেক হিসেব নিকেশ করেই আজকাল ব্যটিং সহায়ক উইকেটে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসর আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে। ওই সব আসর ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটেই হয়।
সর্বশেষ বিশ্বকাপ আর ভারতের মাটিতে গত বছর বিশ্ব টি-টোয়েন্টি আসরও হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে এবার ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলাও ঠিক ওই রকম শতভাগ ব্যাটিং উপযোগি পরিবেশেই হবে।
যদি তাই হয়, উইকেট যদি সত্যি সত্যিই ব্যাটিং বান্ধব থাকে- তাহলে আপনি বাংলাদেশকে নিয়ে বাজি ধরতে পারেন। দেখবেন ঠিক তামিম, সৌম্য, সাব্বির, মুশফিক, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহরা ঠিক ব্যাট হাতে জ্বলে উঠে কোন বড় মাছ শিকার করে ফেলতে পারেন।
আর ৩০ মে মেঘলা আকাশে ওভালে যে উইকেটে খেলা হয়েছে, তেমন পেসবোলিং সহায়ক পিচ হলে ভিন্ন কথা। স্পোর্টিং পিচে যে তামিম, সৌম্য, সাব্বির আর সাকিব শতভাগ সাবলীল, স্বপ্রতিভ আর দূর্বার; কিন্তু পেস বোলিং ফ্রেন্ডলি পিচে বল একটু আধটু মুভ করলে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু লাফিয়ে আসলে তারাই আড়ষ্ট।
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ সবাই বার বার ব্যাটিং সহায়ক পিচের কথা বললেও ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় আসলে শতভাগ ব্যাটিং উপযোগি পরিবেশ আদৌ হবে কিনা, সংশয় আছে।
কারণ অস্ট্রেলিয়ায় যে সব ভেন্যুতে বিশ্বকাপ হয়েছে, তার প্রায় সব শহরই গরম। সেখানে বৃষ্টি হলে হাঁড় কাপানো শীত পড়ে না। বৃষ্টির পর উইকেটের চেহারাও পাল্টে যায় না; কিন্তু ইংল্যান্ডের উইকেটের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে আবহাওয়া এক পশলা বৃষ্টিতে যেমন সহনীয় আবহাওয়া প্রচন্ড শীতে রুপ নেয়, একই ভাবে বৃষ্টি ভেজা পিচও যায় বদলে। ব্যাটিং সহায়ক পিচ হয়ে যায় সীমিং কন্ডিশন।
উইকেট ছাড়া বাংলাদেশের পারফরমেন্স অনেক খানি নির্ভর করে ইনিংসের শেষ দিকে ‘ডেথ ওভারে।’ ডেথ ওভারে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের হাত খুলে খেলা থেকে বিরত রাখতে যেমন কার্যকর বোলিং দরকার, তেমন বোলারের পরিষ্কার ঘাটতি আছে। রুবেল হোসেনই একমাত্র ইয়র্কার লেন্থে বল ফেলে ওই ডেথ ওভারে রানের চাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।
এছাড়া শেষ দিকে হাত খুলে খেলার মত পাওয়ার হিটারও নেই তেমন। বোলারদের কেউই সে অর্থে মেরে খেলতে পারেন না। মোস্তাফিজ-তাসকিন আর রুবেল- কারো বিগ হিট নেয়ার ক্ষমতা নেই। মিরাজ বল পিছু আর ক্রিকেটীয় শটে কিছু রান করলেও বিগ হিট নিতে পারেন কম।
অধিনায়ক মাশরাফির এখনো বড় শট খেলার সামর্থ্য আছে। তবে সেটা স্লো বল বা স্পিন হলে বেশ কার্যকর; কিন্তু ফার্স্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধে মাশরাফির ব্যাট তত সাবলীল নয়। আট-নয় নম্বরে জিয়ার মত একজন ক্লিন হিটার দরকার।
কিন্তু এখন যারা আছেন, তাদের কারো সেই পাওয়ার নেই। শেষ দিকে পাওয়ার হিটিংয়ের ঘাটতি পোষানো সম্ভব নয়। অন্তত একজন সেট ব্যাটসম্যান থাকলে তবু ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটার’ মত অবস্থা হবে। তার মানে আগে আর পরে যখনই হোক না কেন- একজন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যানকে শেষ বল অবধি খেলে আসতে হবে।
সেটাই শেষ কথা নয়। আরও আছে। সাফল্য পেতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সাকিবের বল হাতে জ্বলে ওঠাও খুব জরুরি। যে কোন কারণেই হোক বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের বলের ধার হঠাৎ খানিক কম মনে হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের বোলিংটা খুব জরুরি।
শেষ কথা, বাংলাদেশের ভাল করা কয়েকটি ‘যদি’ ‘তবে’র ওপর নির্ভর করছে। প্রথমতঃ উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হতে হবে। তামিম, সৌম্য, সাব্বির, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মোসাদ্দেকের ব্যাট জ্বলে উঠতে হবে। সঙ্গে মাশরাফি, মোস্তাফিজ আর রুবেলের পেস আক্রমণের সাথে যদি চেনা সাকিবের দেখা মেলে- তাহলে বাংলাদেশ কিছু করে ফেললেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি