আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কূটনৈতিক পাড়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের সময় আতঙ্ক, উদ্বেগ ও ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র উঠে এসেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়। বুধবার সকালে কাবুলের সুরক্ষিত ১০ ডিস্ট্রিক্ট জেলার বিস্ফোরণে অন্তত ৮০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে সাড়ে তিনশ জন।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কাবুলের বিস্ফোরণ সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় ওই এলাকার লোকজন ভূমিকম্প শুরু হয়েছে মনে করে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট পর ফাতিমা ফাইজি নামের কাবুলের এক বাসিন্দা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, এর আগে এরকম বিকট শব্দ আমি শুনিনি। আরেক আহত নাবিব আহমেদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমি ভালোভাবে মনে করতে পারছি না, তবে সেখানে একটা জগাখিঁচুড়ি অবস্থা ছিল।
কাবুলের বাসিন্দারা বলছেন, বিস্ফোরণ এত শক্তিশালী ছিল যে, রাজধানীজুড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে। কাবুলে সবচেয়ে বড় ধরনের এই বিস্ফোরণকে সরকারি কর্মকর্তারাও ভূমিকম্পের মতোই বলে বর্ণনা করছেন।
Advertisement
বিশ্লেষক ও নিরাপত্তা ভাষ্যকার মুসতাক রহিম বলেন, ঘটনাস্থলের মাত্র পাঁচশ মিটার দূরে ছিলাম আমি। এটা অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। বিস্ফোরণে বেশিরভাগ স্থানে ভূমিকম্পের মতো কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিস্ফোরণ থেমে গেলে কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়।
ঘটনাস্থলের পাশের একটি ব্যাংকে কর্মরত মুহাম্মদ হাসানও বিস্ফোরণ নিয়ে একই ধরনের কথা বলেন। তার কাছেও বিস্ফোরণটি ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়েছে। বিস্ফোরণে মাথায় অাঘাত পেয়েছেন তিনি। হামলার পর কাবুলের ১০ ডিস্ট্রিক্টের দোকান, রেস্টুরেন্ট, সরকারি কার্যালয় ও বিদেশি দূতাবাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অাল জাজিরাকে বলেন, হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন। এদিকে কাবুলের কূটনৈতিক এলাকায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণের এ ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা নিন্দা জানিয়েছেন।
সূত্র : অাল-জাজিরা।
Advertisement
কেএ/এসআইএস/আরআইপি