তার ছাত্র সাকিব হঠাৎই যেন একটু ফিকে হয়ে গেলেন। পারফরম্যান্সে মরিচা পড়ে গেছে। বলের ধার ও বৈচিত্র্য খানিক কমে গেছে। আগে ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে যে সমীহ পেতেন, দিনকে দিন তাও কমে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও সাকিবকে দেখলে অনেক বড় বড় ব্যাটসম্যানও শান্ত হয়ে যেতেন। যতটা সম্ভব দেখে খেলার চেষ্টা করতেন। এখন আর তা নেই।
Advertisement
তবে কি সাকিবের বলের ধার গেছে কমে? এ নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন ভক্ত ও সমর্থকদের মনে। কঠিন সত্য হলো, সাকিবের স্পিন ঘূর্ণি আগের মতো প্রতিপক্ষ শিবিরে চিন্তা ছড়ায় না, কাঁপনও ধরায় না। এতে বাংলাদেশের বোলিং শক্তিও একটু কমজোরি হয়ে পড়েছে।
জাগো নিউজের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সাকিবের করণীয় কি? জানতে চাওয়া হয় তার গুরু সালাউদ্দিনের কাছে। জবাবে সাকিবের কোচ সরাসরি স্বীকার করেননি যে, সাকিবের বলে ধার কমেছে।
তবে যেসব ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ দিয়েছেন তাতে পরিষ্কার, সোনালি সময়ের সাকিবের বলে যা যা ছিল, তার কিছু এখন নেই। তাই মুখে এমন কথা, ‘আমার মনে হয়, সাকিবের যেটা মুল অস্ত্র ছিল, সেই এক্যুরেসিটা হঠাৎ কমে গেছে। ও যখন ইচ্ছা তখনই কারেক্ট বল করতে পারত। অনেক শার্প টার্নও পেত। ফ্লাইটের ভেরিয়েশন বা বৈচিত্র্যও ছিল দুর্দান্ত। সেই কন্ট্রোল এখন কমে গেছে।’
Advertisement
তবে চিন্তিত নন কোচ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি বিচলিত কিংবা চিন্তিত নই। এক্যুরেসি কম হলেও, আমার বিশ্বাস তা অতিক্রম করার সামর্থ্য আছে তার। আমার বিশ্বাস, সাকিব যদি তা ওভারকাম করতে পারে, তাহলে অনেক কিছুই আবার আগের মতো হয়ে যাবে।’
এছাড়া শিষ্যর বোলিংয়ের আরও একটা দুর্বলতা ধরা পড়েছে গুরুর চোখে। সালাউদ্দিনের অনুভব, ‘আগে সাকিবের বল পিচে পড়ার পর শার্প টার্ন করত। আর এখন মনে হয় একটু খাটো লেন্থে পড়ছে। খানিক মন্থর গতিতেও যাচ্ছে।’
সাকিব-মুশফিক আর তামিম অনেক বড় বড় সমস্যায় পড়েও কোচ সালাউদ্দিনের স্মরণাপন্ন হন। অতীতে বেশ ক’বার এমন ঘটেছে। কোনো ভুল-ত্রুটি শোধরাতে, ‘সালাউদ্দিন স্যারের কাছে ছুটে গেছেন সাকিব, মুশফিক, তামিম। কোচের পরামর্শে সে দুর্বলতাও কেটে গেছে তাদের।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে ফোনে একবার সাকিবের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চান কোচ সালাউদ্দিন। কে জানে গুরুর পরামর্শে প্রিয় শিষ্যের দুর্বলতা আর ঘাটতি কেটেও যেতে পারে।
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস