ফেবারিটের তকমা নিয়েই বরাবর বৈশ্বিক আসরে অংশ নেয় ইংল্যান্ড। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়িয়েছিল ৭বার। দুইবার আয়োজকের দায়িত্বে ছিল ইংল্যান্ড (২০১৭ সালের আসর বাদে)। ২০০৪ ও ২০১৩ সালে। ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিয়েছিল। দুবারই তারা শিরোপার খুব কাছে চলে গিয়েছিল। দুর্ভাগ্য ইংলিশদের। অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের। রানার্স-আপ হয়েই তাই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের।
Advertisement
২০০৪ সালে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে গড়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। ওই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২ উইকেটে হেরে যায় ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ২১৭ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। ৪৮.৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্রায়েন লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সর্বশেষ আসর তথা ২০১৩ সালের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। দুর্ভাগ্য ভর করেছিল সেবারও। ২০ ওভারে গড়ানো ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল সর্বসাকুল্যে ১২৯ রান। এই লক্ষ্যও টপটাতে পারেনি স্বাগতিকরা। ইংলিশদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মাত্র ৫ রানে (হার)।
১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসেছিল বাংলাদেশে। ইংল্যান্ডের দৌড় থামে কোয়ার্টার ফাইনালে। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০০ সালেও কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেই বিদায় নেয় ইংল্যান্ড।
Advertisement
২০০২ ও ২০০৬ সালে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছিল তারা। তার মানে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবকটি আসরেই অংশগ্রহণ করেছিল ইংল্যান্ড। দুবার করে খেলেছে কোয়ার্টার ফাইনাল ও ফাইনালে। গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে দুবার। আর সেমিফাইনাল খেলেছে একবার। এবারও আয়োজক ইংল্যান্ড। এ নিয়ে তিনবার আয়োজকের দায়িত্ব পালন করছে তারা। ইংলিশরা এবার কি পারবে স্বপ্নের ট্রফিতে চুমু এঁকে দিতে? সময়ই সব বলে দেবে!চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স:
১৯৯৮- কোয়ার্টার ফাইনাল২০০০- কোয়ার্টার ফাইনাল২০০২- গ্রুপপর্ব ২০০৪- রানার্স-আপ২০০৬- গ্রুপপর্ব ২০০৯- সেমিফাইনাল২০১৩- রানার্স-আপ
এনইউ/এমএস
Advertisement