মাস খানেক আগে ভারতের গুজরাটে মশাবাহিত রোগ জিকা ভাইরাস ধরা পড়েছে। কিন্তু তারপরেও সরকারিভাবে জনসাধারণকে জিকা ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়নি। তবে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লোকজন যেন হতাশ না হয় সেকারণেই বিষয়টি গোপন করা হয়েছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
Advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত শুক্রবার অনলাইনে প্রকাশিত এক সংবাদে জানায়, ভারতের গুজরাটে তিন জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের প্রত্যেকেই গুজরাটের আহমেদাবাদের বাপু নগরের বাসিন্দা।
গুজরাটের আহমেদাবাদের এক গর্ভবতী নারী গত বছর নভেম্বরের শুরুর দিকে সন্তান জন্ম দেন। জন্মের পরই ওই নবজাতকের হালকা জ্বরের কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই নারীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের হেলথ কমিশনার জে. পি. গুপ্ত।
ফেব্রুয়ারি মাসে এসে গুজরাটের সরকারি পরীক্ষাগারে আরও দুজনের শরীরে জিকা ভাইরাস ধরা পড়ে। মূলত মশাবাহিত রোগ এটি। জিকা ভাইরাসের কারণে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু ছোট আকৃতির মাথা নিয়ে জন্মাতে পারে। অনেক সময় বিকলাঙ্গও হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের মাথার আকৃতি শরীরের গড়নের তুলনায় অনেক ছোট হয়ে থাকে।
Advertisement
ওই নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি গোপন করেছেন। বর্তমানে ৭০ টির বেশি দেশে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। দক্ষিণ এশিয়াতে জিকা ভাইরাস এখন বড় ধরনের হুমকি।
শুক্রবার ব্রিটেনের এক সংবাদে জানানো হয়েছে, দেশটির গর্ভবতী নারীদের প্রসব না হওয়া পর্যন্ত ভারত সফরের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
গুজরাটের বিরোধী দলীয় নেতা জে ডি পাটেল বলেন, সরকার কীভাবে লোকজনের কাছ থেকে এতো বড় নতুন রোগের কথা গোপন করল। তারা জিকা ভাইরাসের কথা না জানিয়ে আমাদের কাছে মিথ্যা বলেছে।
সরকারের এরকম সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন চিকিৎসকরাও। তারা বলছেন, স্বাস্থ্য সতর্কতা আগে থেকে জানানোই ভাল।
Advertisement
আহমেদাবাদ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রধান প্রগেশ বাচ্চারাজানি বলেন, লোকজন এবং চিকিৎসকদের আগে থেকেই সতর্ক করা দরকার ছিল। জনগণকে সচেতন করার জন্য আরও আগেই বিষয়টি জানানো উচিত ছিল।
তবে আক্রান্তদের কেউই বিদেশ সফর করনেনি। তাহলে কীভাবে এই ভাইরাস তাদের শরীরে আসল তা এখনো পরিষ্কার নয়।
কেএ/টিটিএন/এমএস