রমজানের বাঁকা চাঁদ আকাশে উদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রহমতের দরজা খুলে যায় মুসলিম উম্মাহর জন্য। রমজান আসলেই মুসলমান ইবাদত-বন্দেগিতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এ প্রতিযোগিতায় রয়েছে এক রোজাদার অন্য রোজাদারকে ইফতার করানো।
Advertisement
রহমত মাগফেরাত ও নাজাত লাভে অন্য রোজাদারকে রমজানে ইফতার করানোও ইবাদত। আর রোজাদার যদি হয় অসহায় গরীব; তাহলে তো কথাই নেই। রমজান মাসে যদি কোনো রোজাদার অন্য কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সাওয়াব।এ ব্যাপারে হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে-
হজরত যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রোজাদারকে ইফতার করালো, ওই ব্যক্তিরও রোজাদারের ন্যায় সাওয়াব হবে। আর রোজাদারের নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)
Advertisement
অন্য বর্ণনায় এসেছে-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তাকে এক মহিলা ইফতারের জন্য দাওয়াত করলো, তিনি তাতে সাড়া দিয়ে বললেন, ‘আমি তোমাকে বলছি, যে গৃহবাসী কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তাদের জন্য তার অনুরূপ সাওয়াব হবে।মহিলা বলল, আমি চাই আপনি ইফতারের জন্য আমার কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন বা এ জাতীয় কিছু বলেছে। তিনি বললেন, আমি চাই এ নেকি আমার পরিবার হাসিল করুক। (মুসান্নাফ ইবনে আব্দুর রায্যাক)।
পরিশেষে…হাদিসের ওপর আমল করতে আমরা পরস্পর ইফতার বিনিময় করাবো। অসহায় গরিবের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবো। ইফতার পেয়ে গরীব দুঃখীর মুখের হাসি আত্মার শান্তি আল্লাহ রহমত কামনায় সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে।
আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ যে, তিনি রমজানে বান্দার জন্য কল্যাণের নানা দিক উন্মুক্ত রেখেছেন। এমনকি ইফতার করানোতেও রেখেছেন দ্বিগুণ সাওয়াব।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দ্বিগুণ সাওয়াব লাভে অন্য রোজাদারকে ইফতার করানোর এবং অসহায়দের মাঝে ইফতার বণ্টনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম