দুই তলায় ডেরাইভার নাইএকবার লাল মিয়া আর নীল মিয়া খুব শখ করে ঢাকা শহর দেখতে এল। দোতলা বাস দেখে তো অবাক! এই বাসে না উঠলে কী চলে? তাই দেরি না করে দু’জনেই দোতলা বাসে উঠে পড়লো। লাল মিয়া নীচতলায় বসলেও নীল মিয়াকে উপরে ঠেলা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হল। দোতলা বাসের সে কী টান...!
Advertisement
এক টানে গুলিস্তান থেকে আব্দুল্লাপুর। বাস থামলে লাল মিয়া উপরে গিয়ে দেখে নীল মিয়া সিট জড়িয়ে ধরে থর থর করে কাপছে, প্রায় মূর্ছা যাওয়ার মতো অবস্থা। লাল মিয়া জিজ্ঞেস করলো-লাল মিয়া : ভাই, তর এই অবস্থা ক্যারে? আমার কাছে তো বাসে চইরা ভালই লাগলো।নীল মিয়া : তাও ভালো যে নীচতলায় ডেরাইভার আছে। চায়া দেখ- দুই তলায় তো ডেরাইভারই নাই। আল্লায় কেমনে জানি বাঁচায়া রাখছে।
****
আমরা বাঁচতেও পারি নাশিক্ষক : এমন একটা মাত্র জিনিস আছে, যেটা আমরা দেখতে পাই না, কিন্তু সেটা ছাড়া আমরা বাঁচতেও পারি না। কি সেটা?বাবুল : বাতাস।শিক্ষক : ভেরি গুড।পল্টু : না স্যার, ওটা ছাড়াও কিছু আছে।শিক্ষক : আচ্ছা, তাহলে তুমিই বলো কি সেটা?পল্টু : স্যার, সেটা হল ইন্টারনেট কানেকশন।
Advertisement
****
হাদারামরা এসে গেছেগুলজারদের বাসায় রাতে পার্টি। কারণ গুলজারের বাবার প্রমোশন হয়েছে। পোলাও, কোর্মা, রোস্ট, রেজালা, জর্দা, ফিরনিসহ এমন কোন আইটেম নেই- যা রান্না হয়নি। কিন্তু ৯টা বেজে গেলেও গুলজারের বাবার কলিগদের আসার খবর নেই।
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে এবার রাগতঃস্বরে গুলজারের বাবা গুলজারের মাকে বলছে-বাবা : ওফফ, এই হাদারামদের কমনসেন্সের এতো অভাব! এখনো আসতেছে না।
সাড়ে ৯টায় গুলজারদের দরজায় কলিং বেল বাজলো। গুলজার দরজা খুলে দেখে তার বাবার কলিগরা এসেছেন। তাই গুলজার খুশিতে লাফিয়ে উঠে চিৎকার করে বললো-গুলজার : বাবা, তোমার হাদারামরা এসে গেছে।
Advertisement
এসইউ/পিআর