বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ এফ এম নুরুল হক হাওলাদারের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নূরুল হক ফাউন্ডেশন তার গ্রামের বাড়িতে কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, কাঙ্গালি ভোজ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এছাড়া ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানান কর্মসূচি নিয়েছে।
Advertisement
‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি জোবায়দা হক অজন্তার বাবা নূরুল হক ১৯৭৩ সালের ৩১ মে রাত ৮টায় আঁততায়ীর গুলিতে শহীদ হন।
শরীয়তপুর জেলাধীন নড়িয়া উপজেলার সালধ গ্রামে তার নিজ বাড়ির বৈঠকখানায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকরত অবস্থায় আঁততায়ীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস)সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেনের শ্বশুর।
১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্যন্ত তরুণ বয়সে নূরুল হক আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নড়িয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
Advertisement
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে স্থানীয়ভাবে তিনি একজন সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেন। জীবদ্দশায় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন জাতির পিতার অত্যন্ত স্নেহভাজন ও ঘনিষ্ট সহচর। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ঢাকার রাজপথে ছিল তার সক্রিয় উপস্থিতি।
এইচএস/জেএইচ/পিআর