আন্তর্জাতিক

‘মোরা’ কেড়ে নিল চার প্রাণ

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে অন্তত চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলায় এ চারজন নিহত হয়েছেন গাছ চাপা পড়ে।

Advertisement

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে শত শত বাড়িঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গাছচাপায় নিহত দুজন হলেন সায়রা খাতুন (৬৫) ও রহমত উল্লাহ (৫০)। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া মোরার আঘাতে রাঙ্গামাটিতে দুজন মারা গেছেন।

উপকূলীয় অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম শহরে ভারি বর্ষণ ঝড়িয়েছে মোরা। এসময় বাতাসের বেগ সর্বোচ্চ ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল।

Advertisement

এর আগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অন্যান্য নিচু এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করে আবহাওয়া দফতর। পরে মোরার সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তা ও মেডিকেল চিকিৎসক ও নার্সদের ছুটি বাতিল করা হয়। স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়া হয় স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সরকারি ভবনে।

রোহিঙ্গা নেতা আব্দুস সালাম বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে প্রায় ২০ হাজার ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিষ্কার চিত্র এখনো পাওয়া যায়নি বলে আবহা্ওয়া দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে মঙ্গলবার সকালের দিকে মোরা বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে ভারতের মনিপুরের দিকে অগ্রসর হওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া দফতর।

এছাড়া মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বছর উপকূলীয় জেলাগুলোতে সাইক্লোন রোয়ানুর আঘাতে অন্তত ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

এসআইএস/আরআইপি