ইউক্রেনের সঙ্কট মোকাবেলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে, নেটো পূর্ব ইউরোপে এমন একটি বাহিনী গড়ে তুলছে বলে ঘোষণা করার পর রাশিয়াও তাদের সামরিক কৌশল আরো শক্তিশালী করার কথা বলেছে। ক্রেমলিনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মিখাইল পোপভ বলেছেন, নেটোর পরিকল্পনা তাদের জন্য একটা সামরিক হুমকি এবং তিনি নেটোর বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনায় আরো ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে নেটো বলছে, হুমকি বাড়ার পটভূমিতে তারা প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।নেটো জোটে আছে ২৮টি সদস্য দেশ, যাদের মধ্যে রয়েছে পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র। ইউক্রেন নেটোর সদস্য নয়। নেটোর পরিকল্পনায় বলা হচ্ছে, রুশ আগ্রাসন থেকে জোটের সদস্য দেশগুলোকে রক্ষা করার জন্যে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে, কয়েক হাজার সৈন্যকে নিয়ে এরকম একটি বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে। জোটের সদস্য দেশগুলোই এই বাহিনীতে পালাক্রমে সৈন্য সরবরাহ করবে, যাদেরকে প্রয়োজনীয় স্থানে মোতায়েন করা যাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই। নেটোর প্রধান বলেছেন, ইউরোপের পূর্ব দিকে সদস্য দেশগুলোতে আগে থেকেই সামরিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা থাকবে, যাতে প্রয়োজনে অল্প সৈন্য পাঠিয়েই জোরালোভাবে আক্রমণ করা যায়।ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহেই নেটোর বৈঠকে এই পরিকল্পনা অনুমোদিত হতে পারে। ইওরোপীয় ইউনিয়নও বলছে যে তারা ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সম্ভাব্য শক্ত জবাব দিতে চায়। ইউ`র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক নতুন প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনে বলছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো এক দফা নতুন নিষেধাজ্ঞা আসছে শুক্রবার।রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরফ বলছেন, পূর্ব ইউক্রেনের রাজনৈতিক সমাধানের জন্যে ওয়াশিংটনের উচিত কিয়েভ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। আমি মনে করি, সবচে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে কিয়েভকে যুক্তি দিয়ে বোঝানো। একমাত্র আমেরিকাই সেটা করতে পারে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ওপর ওয়াশিংটনের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। সঙ্কট সমাধানের জন্যে সামরিক উপায়ের বদলে যে রাজনৈতিক উপায় খুঁজতে হবে সেটা বোঝাতে আমেরিকার এই প্রভাব অত্যন্ত জরুরি। -বিবিসি
Advertisement