ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। আবহাওয়ার পূর্বাবাসে গতকাল সোমবারও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মোরা’ নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
গ্রীষ্মকালে প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় হয়। কোথায় কখন কোন ঘূর্ণিঝড় হয়, তা নির্ধারণের জন্য ঝড়ের আগাম নামকরণ করা হয়। ১৯৪৫ সাল থেকে এ নামকরণ শুরু হয়। সাধারণত আঞ্চলিক পর্যায়ের নিয়ম অনুসরণ করে এসব ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টির ‘মোরা’ নামকরণ করা হয়েছে থাইল্যান্ডের প্রস্তাবের ভিত্তিতে। ‘মোরা’ থাই শব্দ, যার ইংরেজি অর্থ হলো ‘স্টার অব দ্য সি’। বাংলায় ‘সাগরের তারা’।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে থাইল্যান্ডে এসকাপ ও ডব্লিউএমওর ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বৈঠকে ছয়টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম আগাম ঠিক করে রাখা হয়। প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি গত ১৭ এপ্রিলে ভারত উপকূলে দুর্বল অবস্থায় আঘাত হানে। এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছিল মোরা। যা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে।
Advertisement
পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম রাখা হয়েছে- ওচি, সাগর, ম্যাকুনু ও ডায়ে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ওডিশায় ঘূর্ণিঝড়ের পর ২০০০ সালে ওয়ার্ল্ড মেটিওরলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) ও এসকাপ এক বৈঠকে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে একমত হয়। এরপর ২০০৪ সালে প্রথম ‘অনিল’ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।
আরএস/এমএস
Advertisement