লাইফস্টাইল

রোজায় পানিশূন্যতা দূর করবেন যেভাবে

রমজানের খাদ্যাভ্যাস অন্যান্য দিনগুলোর মতো নয়। সাধারণত দৈনিক একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। কিন্তু রমজান মাসে দিনের বেলা না খেয়ে থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না। ফলে ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।

Advertisement

গরম আবহাওয়া, পরিশ্রমের কাজ ও অতিরিক্ত গৃহস্থালির কাজ থেকে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে। একারণে অতিসামান্য ইউরিন তৈরি হতে পারে অথবা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনেকসময় পানি শূন্যতার কারণে অজ্ঞান হবার অবস্থা তৈরি হতে পারে।

পানি শূন্যতা যাতে তৈরি না হয় তার জন্য প্রত্যেক রোজাদারগণের আগাম সতর্কতা বা আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। যেমন: ইফতারি ও রাতের খাবারের পর প্রচুর পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি সেহরি খাওয়ার পূর্বে অথবা সেহরির সময় প্রচুর পানি ও তরল পদার্থ পান করতে হবে। তাহলে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা দেখা দেবে না।

শুধু পানি পান নয়, আপনি পানির পরিবর্তে ঘরে তৈরি লেবুর শরবত, ডাবের পানি, মানসম্মত জুস, সুপ, তরল দুধ ইত্যাদি পান করতে পারেন। মনে রাখতে হবে কোন অবস্থায় রোজা থাকাকালীন পানি শূন্যতা হতে দেয়া যাবে না।

Advertisement

এজন্য প্রয়োজনে পরিশ্রমের কাজ, ব্যায়াম বা শরীর চর্চা ও রোদে বেশিক্ষণ না থাকাই ভালো। তবে পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের কারণে জীবন বিপন্ন হবার আশংকা থাকলে অবশ্যই দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।

এইচএন/পিআর

Advertisement