জাতীয়

‘পিঠা ঘরে’ হরেক রকম পিঠার পসরা

ঐহিত্য ও আভিজাত্যের মিশেলে অনন্য রাজধানীর অন্যতম ইফতার বাজার বেইলি রোড এলাকা। পবিত্র রমজানে বরাবরই বেইলি রোডের ইফতার বাজারের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে ‘পিঠা ঘর’।

Advertisement

অন্যান্য বছরের মতো এবারও বেইলি রোডে হরেক রকমের পিঠা নিয়ে ইফতার সামগ্রী সাজিয়েছে পিঠা ঘর। বেইলি রোডের মাঝামাঝিতে ছোট্ট দোকান পিঠা ঘর। বিভিন্ন ট্রে তে করে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ইফতার সামগ্রী ও বাহারি রকমের পিঠা। ভোজন রসিকদের কাছে পিঠা ঘরের আকর্ষণ ব্যাপক। এখানে মেলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা।

সরেজমিনে বেইলি রোডের পিঠা ঘরে গিয়ে দেখা গেছে, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ও দুই ধরনের হালিম রয়েছে ইফতার আয়োজনে। সেইসঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পিঠা। এখানকার পিঠার সুনাম ও মানের কারণে বেচাবিক্রিও বেশ ভালো।

পিঠা ঘরের মালিক কাজী গোলাম কিবরিয়া জাগো নিউজকে বলেন, রাজধানীতে ঐতিহ্যবাহী সব পিঠা আমরা বিক্রি করি। গত প্রায় ২৪ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করছি। বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা এখানে তৈরি করা হয়। ভালো মানের পিঠা বানাই বলে আমাদের সুনাম রয়েছে। দামও ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে।

Advertisement

তিনি বলেন, এখানে সবমিলিয়ে ৪৫ রকমের পিঠা পাওয়া যায়। এর মধ্যে অন্যতম পাটিসাপটা, মালপোয়া, রসফুল, নারকেলের ভাজা পুলি, ঝাল পোয়া, ফিরনি, বিবিখানা, পুডিং, ক্ষীর কুলি, মুগসোলা, শাহী রস পাকান, পান পিঠা, সর ভাজা, পানতোয়া, লবঙ্গ লতিকা, শাহী মালাই, নারকেলের সিদ্ধ পুলি ও ক্ষীর লুচি।

এসব পিঠা ১৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করা হয়। এছাড়া ২০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে গরু ও খাসির হালিম।

রমজানে পিঠা বিক্রি সম্পর্কে কিবরিয়া বলেন, পিঠা সবসময় শীতে বেশি বিক্রি হয়। তবে রমজানেও বিক্রি বাড়ে। কিন্তু গরমের কারণে এবার বিক্রি একটু কম।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বেইলি রোডসহ বারিধারা, বসুন্ধরা, গুলশান-১ ও বনানীতে পিঠা ঘর রয়েছে। বিয়ে, অতিথি আপ্যায়নসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখান থেকে পিঠা সরবরাহ করা হয়। সারাবছর এখানে পিঠা বিক্রি হলেও শীতের মৌসুমে চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।

Advertisement

বেইলি রোডে পিঠা কিনতে আসা মগবাজারের বাসিন্দা আশরাফ হোসেন বলেন, ইফতারে ভাজা-পোড়া থাকেই। তবে পিঠাও সবার পছন্দ। বাসায় পিঠা বানানো হয় না। এখানে অনেক রকম পিঠা পাওয়া যায়। এখানকার পিঠা মান ও স্বাদে ভালো বলে জানান তিনি।

এসআই/এসআর/ওআর/পিআর