খেলাধুলা

মঙ্গলবার প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুর আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়িয়েছিল শনিবার। ব্যাটিং প্রাকটিসটা ভালো হয়েছে! পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪১ রান করেছিলেন তামিম-ইমরুল-মুশফিকরা। তবে আত্মবিশ্বাসের বলিয়ান হওয়ার ঝালাইটা কি হয়েছে? বোধ হয়, নাহ। এত বড় স্কোর নিয়েও বোলারদের অপরাগতার কারণে পাকিস্তানের কাছে টাইগাররা হেরে গেছেন ২ উইকেটে।

Advertisement

একটা সুযোগ হতাছাড়া হয়েছে। তাতে কী? সুযোগ তো ফুরিয়ে যায়নি। বাকি আছে আরেকটা। ভারতের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। আগামীকাল মঙ্গলবার বিরাট কোহলির দলের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামবে মাশরাফি বাহিনী। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় লন্ডনের দ্য ওভালে গড়াবে ‘গা গরমের’ ম্যাচটি। সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস।

প্রস্তুতি পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের। ৩৪১ রানের বড় পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানের সঙ্গে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে ফাহিম আশরাফের ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছেন টাইগাররা। ৩০ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৬৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেন তরুণ এই অলরাউন্ডার।

অপরদিকে শেষ পর্যন্ত কী হতো? তা পরের কথা। বৃষ্টি আইনে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দলের জয়টা ৪৫ রানের। দ্য ওভালে ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ৩৮.৪ ওভার খেলে কেন উইলিয়ামসনের দল অলআউট হয় ১৮৯ রানে। জবাবে ২৬ ওভার খেলে ৩ উইকেটে ১২৯ রান তোলে ভারত। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। ম্যাচটির বাকি খেলা আর মাঠে গড়াতেই দিল না বেরসিক বৃষ্টি। যে কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে নির্ধারিত হয় ম্যাচের ফল।

Advertisement

ভারতের জন্য স্বস্তির বিষয়, বিরাট কোহলি ছন্দে ফিরেছেন। আইপিএলে খুব একটা ভালো সময় কাটেনি তার। শেষ ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে ৫৮ রান করেছিলেন তিনি। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম  প্রস্তুতি ম্যাচে বৃষ্টির আগে অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন ভারত অধিনায়ক। আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্রিকেটাররা তো আছেনই।

ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে ভারতের সামনে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে বাংলাদেশকে। নিজেদের সেরাটাই উজাড় করে দিতে চাইবেন মাশরাফিরা। পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপ অনেক ভালো! তাই বাংলাদেশের বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে না পারলে জয় পাওয়া হবে বড্ড কঠিন। ভুল করলে মাশুল দিতে হবে বাংলাদেশকে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিন বিভাগেই নিজেদের মেলে ধরতে পারবে কি বাংলাদেশ? সময়ই সব বলে দেবে। ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ দল হোক আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান, এমন প্রত্যাশাই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।

প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচ মাঠে গড়াবে ১ জুন। ওভালের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৫ জুন একই মাঠে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে মাশরাফির দল। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ৯ জুন কার্ডিফে অনুষ্ঠিত হবে ওই ম্যাচ।

এনইউ/আরআইপি

Advertisement