বিশ্বের এমন কোনো ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া ভার- যার ক্যারিয়ারে নেই কোনো পতন, আছে শুধুই উত্থান। তার মানে, স্বভাবতই যে কোনো ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে রয়েছে চড়াই-উৎরাই। ব্যতিক্রম নন মুশফিকুর রহীমও। ভালো খেললে প্রশংসা। খারাপ খেললে তার সমালোচনা করতে কি ভুল করেন সমালোচকরা? বোধ হয়, না। মুশফিকও তো জানালেন, খারাপ খেললে তাকে বিঁধতে হয় সমালোচনার তীরে। তবে কেউ সমালোচনা করলে কিছু মনে করেন না টেস্ট অধিনায়ক!
Advertisement
বাংলাদেশে ক্রিকেটে মুশফিকের পরিচয় ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ হিসেবে। টাইগার দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক তিনি। সর্বশেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে ঐতিহাসিক জয় পেল বাংলাদেশ, ওই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তো মুশফিকই। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন হার না মানা ৪৫ রানের মূল্যবান এক ইনিংস।
এটা নিশ্চয়ই ভালো সময় মুশফিকের জন্য। বিদেশের মাটিতে কিউই-বধের নায়ক বনে যাওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। সম্প্রতি এভাবেই হেসে চলেছে মুশফিকের ব্যাট। এটা তো মুদ্রায় এপিঠ। তবে মুদ্রার ওপিঠ দেখলে কী অবস্থা হয়?
শোনা যাক মুশফিকের ভাষায়, ‘দেখুন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারেই কিছু ভালো ও খারাপ মুহূর্ত আসে। ঠিক আমারও এসেছে। কিন্তু একটা কথা বলে রাখা ভালো যে আমরা যারা বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলছি, সবাই দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিচ্ছি। সত্যি কথা বলতে কি, যখন আমি খারাপ খেলি তখন কেউ সমালোচনা করলে কিছু মনে করি না। আমরা তো ইচ্ছা করে কেউ খারাপ খেলি না।’
Advertisement
ক্যারিয়ারের চড়াই-উৎরাইয়ের সময় অনেক কিছু শেখার আছে। শিখেছেন মুশফিকও। বলেন, ‘খারাপ মুহূর্তে অনেক কিছুই দেখেছি। যা আমাকে ভালো মানুষ বানিয়েছে। বানিয়েছে একজন ভালো ক্রিকেটারও। ইনশাল্লাহ, আশা করছি- প্রতিনিয়তই আমি শিখতে পারছি।’
এনইউ/এমএস