বেশ ক’দিন ধরে টানা তাপপ্রবাহে নাস্তানুবাদ হতে হয়েছে প্রাণীকূলকে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সাগরে যে গভীর নিম্নচাপটি ছিল তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। রোববার দিনগত শেষ রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় পরিণত হয়েছে। এটি রোববার দিনগতরাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জাগো নিউজকে জানান, ঘর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে পরবর্তী ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সামুদি্রক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। এরপর উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ৩০ মে সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।’ তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এমএসএস/এমএমএ
Advertisement