ডেটলাইন ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে নানা সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। এক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিত্র ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম। শহরের টি.এ রোড থেকে কান্দিপাড়া মাদ্রাসা রোড পর্যন্ত দুইশ গজ এলাকার মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ আর মিনিট দুই-একের বিক্ষোভ মিছিল ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি তারা।কেন্দ্রীয়ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ দেয়া হলেও মামলা আর গ্রেফতারের ভয়ে এখন পর্যন্ত আত্মগোপনে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের শীর্ষ নেতারা।সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সরকার বিরোধী আন্দোলনে নানা সহিংসতামূলক কর্মকণ্ডের দায়ে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এক হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ১৩টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় এখনো পর্যন্ত কারাগারে রয়েছেন জেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ দলটির কয়েকশ নেতাকর্মী। তবে গ্রেফতারের ভয়ে এখনো পর্যন্ত আত্মগোপনে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা। অজ্ঞাত স্থান থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে তারা তাদের দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন।অন্যদিকে সম্মেলনের সাড়ে ৪ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি। এর ফলে দলের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। কবে নাগাদ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে তাও নিশ্চত করে বলতে পারছেন না দলের শীর্ষ নেতারা।সর্বশেষ গত ২২ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিকে সভাপতি, প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহববুব শ্যামলকে সিনিয়র সহসভাপতি, জহিরুল হক খোকনকে সাধারণ সম্পাদক, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিকে গত ১০ জানুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, বিরোধী দল হিসেবে আমাদের উপর স্টিম রোলার চলছে। মামলা থাকলে দেশের সাধারণ মানুষ যেভাবে থাকে আমরাও এখন সেভাবেই আছি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে যেকোন সময় আমরা আলোচনায় বসবো। তবে আমাদের বসাটা ইনসিকিউরড (অনিরাপদ) বিধায় বসতে দেরি হচ্ছে।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমজেড/আরআইপি
Advertisement