অর্থনীতি

রাজধানীজুড়ে বাহারি ইফতারের পসরা

 

রাজধানীজুড়ে বাহারি ইফতারের পসরা বসেছে। পাঁচতারকা হোটেল থেকে বাণিজ্যিক এলাকার ফুটপাত সর্বত্রই শোভা পাচ্ছে রকমারি ইফতার সামগ্রী। এমনকি পাড়া-মহল্লার গলিতেও খণ্ডকালিন ইফতার সামগ্রীর দোকান বসিয়েছেন অনেকে।

Advertisement

কোথাও কোথাও সারিবদ্ধভাবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে ইফতারির খণ্ডকালীন দোকান। রাস্তার ওপর সামিয়ানা ঝুঁলিয়ে টেবিল পেতে এসব দোকানিরা ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে মেতেছেন বাহারি রঙ আর স্বাদের ইফতারির খাবার তৈরিতে।

রাজধানীজুড়ে গড়ে ওঠা এসব ইফতারির দোকানগুলোতে রোববার যোহরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় কর্মব্যস্ততা। দোকানিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন জিলাপি, ছোলার ঘুগনি, বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, ডিমের চপ, জালি কাবাব, হালিম, সমুচা, ভেজিটেবল রোল, ভেজিটেবল চপসহ নানা রকমের ইফতারি আইটেম তৈরিতে। যা বিকেল ৩টার পর থেকেই শোভা পেতে থাকে দোকানের সামনে রাখা টেবিলের ওপর।

পাড়া-মহল্লা ও বাণিজ্যিক এলাকার এসব ইফতারি আইটেমের সঙ্গে অভিজাত এলাকার ইফতারির দোকানগুলোতে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা।

Advertisement

অভিজাত এলাকায় ইফতারির কমন আইটেম বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, ছোলার ঘুগনি, জিলাপির সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে অ্যাবাকাস স্পেশাল প্রন বল, বিফ কিমা, বিফ জালি কাবাব, চিকেন হালিম, গরু ও খাসির হালিম, স্পাইসি হট আলু, চিকেন ফ্রাই, চিকেন উইংস, চিকেন বটি, চিকেন টিক্কা, দইবড়া, খাসির বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি, কাচ্চি বিরিয়ানি, তেহারি, খিচুড়ি, আলু সমুচা, বিফ সমুচা, চিকেন ড্রাম স্টিক, চাপলি কাবাব, ফালুদা, শিক কাবাব, বটি কাবাবসহ নানা পদ।

পাড়া-মহল্লা, বাণিজ্যিক এলাকা ও ব্যস্ততম সড়কগুলোর ফুটপাত ঘিরে গড়ে ওঠা ইফতারির দোকানগুলোতে এলাকা ভেদে বেগুনি, পেঁয়াজু, সমচা, আলুর চপ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা পিচ হিসাবে। এছাড়া ডিমের আলুর চপ ১০ থেকে ১৫ টাকা, জালি কাবাব ১০ থেকে ২০ টাকা, ভেজিটেবল রোল ২০ টাকা, জিলাপি প্রতিকেজি ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে এসব দোকানে শোভা পাওয়া ইফতারির সামগ্রীগুলো অধিকাংশই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে। বেশির ভাগ দোকানিরা রাস্তার ধারে টেবিলের ওপর ইফতারির সামগ্রীগুলো খোলা অবস্থায় রেখেছেন। কেউ কেউ আলতোভাবে পলিথিন দিয়ে ইফতার সামগ্রী ঢেকে রেখেছেন। তবে স্থায়ীভাবে খাবার ঢেকে রাখার ব্যবস্থা দেখা মেলেনি কোনো দোকানে।

‘ধলপুর বাজারে বাহারি ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসা মো. জামিল বলেন, ইফতারিতে সবাই ঘুগনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, জিলাপি, হালিম, সরবত খেতে পছন্দ করেন।আমরাও রোজাদারদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী ইফতারি বানাই। বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, হালিম, জিলাপি, সমুচা, ভেজিটেবল রোল, ভেজিটেবল চপ, ঘুগনিসহ মধ্যবিত্তের ইফতারির প্রায় সব আইটেমই আমাদের কাছে আছে। হোটেলগুলোতেও এসব আইটেম পাওয়া যায়। তবে হোটেলের থেকে আমরা দাম কিছুটা হলেও কম রাখি।’

Advertisement

মতিঝিল দিলকুশা এলাকার ইফতার সামগ্রীর ব্যবসায়ী মো. হান্নান আলী বলেন, ইফতারির আইটেম হিসেবে আমাদের কাছে জিলাপি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, ছোলা, ঘুগনি, ডিম চপ, মুড়িসহ বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে। এসব খবার যেমন আলাদা আলাদা বিক্রি করা হয়, তেমনি ইফতারির প্যাকেজ হিসেবেও বিক্রি করা হয়। যে কেউ আমাদের কাছ থেকে মাত্র ২০ টাকায় ইফতারির আইটেম কিনতে পারেন। এতে খেজুর, মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজু রয়েছে।

গুলশান-১ গোলচত্বর এলাকার ইফতার ব্যবসায়ী সাইদুর জানান, তারা আলুর চপ ১০ টাকা, পিঁয়াজু ৫ টাকা, ডিম চপ ২০ টাকা, জালি কাবাব ২০ টাকা, জিলাপির কেজি ১৪০ টাকা, গরু ও খাসির হালিম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, ভেজিটেবল পাকোড়া ২০ টাকা, লাচ্ছি ৬০ টাকা, ফালুদা ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন।

এমএএস/জেডএ/পিআর