জাতীয়

আড়াই কেজির বাদশাহী জিলাপি

‘এই জিলাপির স্বাদ-গন্ধ, আকার আয়তনের সঙ্গে নাকি রাজকীয় একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাই এর নাম বাদশাহী জিলাপি।’ ঐতিহ্যবাহী ইফতারের নাম বললেই চলে আসে পুরান ঢাকার চকবাজারের নাম। প্রতিবছর চকবাজারের শাহী মসজিদের সামনের সড়কে বসে ঐতিহ্যবাহী ইফতারের আয়োজন। এদের মধ্যে একটি বাদশাহী জিলাপি।

Advertisement

ছোট জিলাপির পাশাপাশি প্রতিবছরের মতো এবারও চকবাজারে নানা নকশার বাদশাহী জিলাপি নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট জিলাপির ওজন এক কেজি। বড়টা সর্বোচ্চ আড়াই কেজি। শখের বসে কেউ যদি এর চেয়েও বড় বানাতে চায় আগেভাগে অর্ডার দিলে সেটাও সম্ভব বলে জানান বিক্রেতা খালেদ হাসান।

আকার-আয়তনের বড় হওয়ার পাশাপাশি জিলাপির নাম বাদশাহী হওয়ার পেছনে আরও কয়েকটি কারণ বললেন খালেদ। তিনি বলেন, মোগল আমলে এ ধরনের জিলাপি খাওয়া হতো। এটি তৈরিতে অন্যান্য সাধারণ উপকরণের পাশাপাশি ঘি ও ডালডা ব্যবহার করা হয়।

ছোট জিলাপির কেজি ১৪০-১৫০ টাকা হলেও বড় এই বাদশাহী জিলাপির দাম ১৮০ থেকে ২০০। পরিপূর্ণভাবে ভাজতে সময় ও তেল বেশি লাগে বলে এর দাম বেশি।

Advertisement

জাকারিয়া নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, বড়টা আমরা খুবই কম সংখ্যক তৈরি করি। কেউ চাইলে সঙ্গে সঙ্গে ভেজে দেই। ছোট জিলাপির চাহিদা বেশি। তবে দেখতে সুন্দর লাগে বলে অনেকে বড় বড় জিলাপি অর্ডার দেয়। আজ প্রথম রোজায় এ পর্যন্ত মাত্র একটা বিক্রি হয়েছে।

চকবাজার ঘুরে আরও চোখে পড়লো বোম্বে জিলাপি, রেশমি জিলাপি, শাহী জিলাপি, প্যাঁচ জিলাপি, চিকন জিলাপি ইত্যাদি। দোকানিদের মতে, আকার-আয়তন ভিন্ন হলেও জিলাপিগুলোর স্বাদ প্রায় একই।

জাকারিয়া বলেন, জিলাপিগুলোর মধ্যে রেশমি জিলাপির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এটি আকারে ছোট ও চিকন হয়। ঘিয়ে ভাজা এই জিলাপির কেজি ৩০০ টাকা।

যাত্রাবাড়ী থেকে ইফতার কিনতে আসা তাইফুল আলম বলেন, ইফতারের মেন্যুতে মিষ্টি বলতে জিলাপি সবচেয়ে জনপ্রিয়। তাই অন্যান্য ইফতারের সঙ্গে জিলাপিটাও নিয়ে নিলাম। যদি স্বাদ ভালো হয় তাহলে আবার এখান থেকে জিলাপি কিনবো।

Advertisement

এদিকে রোজাদারদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার নিশ্চিত করতে চকবাজারে ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ ও বিএসটিআই। তাদের উপস্থিতিতে অনেকটাই সচেতনভাবে ইফতার তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা।

এআর/এএস/এসএইচএস/জেআইএম