দেশজুড়ে

সাত খুনের মামলার চার্জশিটের শুনানি আজ

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় আদালতে দেয়া চার্জশিটের শুনানি হবে সোমবার। আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে ‘না রাজি’ দিতে যাচ্ছেন একটি মামলায় বাদী সেভেন মার্ডারের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সাত খুন মামলার নির্ধারিত ধার্য তারিখ। এদিন চার্জশিটের ব্যাপারে শুনানি হবে।সাত খুনের ঘটনায় নজরুল ইসলামর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি যিনি পরে নজরুলের শূন্য ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তিনি একটি মামলা করেন। অপরদিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামি অজ্ঞাত করা হয়েছিল। তবে চার্জশিটের ব্যাপারে কোন ধরনের আপত্তি নেই চন্দন সরকার পরিবারের।গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারি সংস্থা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুটি মামলাতেই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।সেলিনা ইসলাম বিউটি জাগো নিউজকে জানান, যারা আমার স্বামীকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ও যাদের আসামি করে মামলা করেছিলাম তাদের মধ্যে নূর হোসেন ছাড়া অন্য ৫ জনকে অব্যাহতি দেয়াতে আমি ক্ষুব্ধ। আমার মনে হয় অনেক কিছু গোপন রাখা হয়েছে। আমি চাই নূর হোসেনকে দেশে এনে রিমান্ডে নেয়া হোক। আমার মামলায় ৬ জনকে আসামি করেছিলাম। কিন্তু একজনকে রেখে কেন ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়নি সেটা প্রশ্নবিদ্ধ থাকায় আমি আদালতে `নারাজি` দেব। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতজনকে অপহেণের পরদিন ২৮ এপ্রিল ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। মামলার আসামিরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, ইকবাল, হাসু, রাজু ও আনোয়ার। এর মধ্যে হাসু প্যানেল মেয়র নজরুলের চাচা শ্বশুর বলে জানা গেছে।গত ৮ এপ্রিল বুধবার আদালতে দায়ের করা চার্জশিটে ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার করা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ র্যাবের চাকুরিচ্যুত তিনজন আলোচিত কর্মকর্তাসহ মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে। অভিযুক্তদের মধ্যে নূর হোসেন ভারতে গ্রেফতার হলেও তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে।চার্জশিটে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এজাহারভুক্ত ৫ আসামিরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, ইকবাল, হাসমত আলী হাসু, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু ও আনোয়ার। মামলায় এ ৫ জনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ৫ জনের সঙ্গে নূর হোসেন এজাহারভুক্ত ছিলেন। তিনি গত বছরের ১৪ জুন ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার হয়েছেন। মো.শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/এমএস

Advertisement