শুরু হয়েছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছ অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও ফজিলতপূর্ণ পবিত্র মাহে রমজান। শনিবার দিবাগত রাতে সেহরি খেয়ে সারাদেশে রমজানের প্রথম রোজা রাখছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
Advertisement
এরআগে শনিবার বাদ এশা দেশের প্রায় সব মসজিদে শুরু হয়েছে তারাবির নামাজ। এবারও অন্যান্য বছরের মতো মসজিদগুলোতে পবিত্র রমজানে খতমে ও সুরা তারাবি এবং বিশেষ দোয়া-দরুদের আয়োজন রয়েছে।
টানা কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত হলেও পবিত্র রমজান মাসকে স্বাগত জানাতে আয়োজনের কমতি ছিল না প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর।
তবে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অগ্নিমূল্য, বিশেষ করে রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের বাড়তি মুনাফাবৃত্তির প্রবণতা এবারো লক্ষ্য করা গেছে।
Advertisement
অন্যদিকে, পবিত্র রমজান উপলক্ষে কর্মঘণ্টা ও সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সরকারি সব প্রতিষ্ঠানসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে আহ্বান জানান। তিনি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেছেন, ‘সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ক্ষমালাভের মাস মাহে রমজান। অশেষ রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের এ মাস মহান আল্লাহর নৈকট্য, শান্তি এবং তাকওয়া অর্জনের অপূর্ব সুযোগ এনে দেয়। যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ এ মাসটি পালন করে থাকে। সিয়াম ধনী-গরিব সবার মধ্যে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।’
Advertisement
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে জীবনের সর্বস্তরে ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পবিত্র রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও সঙ্ঘাত পরিহার করে ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, খালেদা জিয়া তার বাণীতে বলেছেন, ‘হিংসা-বিভেদ, অন্যায়, জুলুম, অবিচার এবং লোভ-লালসাসহ সব ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মহান শিক্ষা দেয় মাহে রমজান। অনাচার, হিংসা, বিভেদ, হানাহানি পরিহার করে সমাজে শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকা প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য।’
এসআর/এমএস