জাতীয়

মধ্যরাতে জেগে উঠলো নগরবাসী

‌`অ্যাই সাজেদুর, আর মাত্র আধ ঘণ্টাটা বাকি, সবার সেহরি খাওয়া শেষ, উঠ তাড়াতাড়ি` রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা রহমত আলি রাত পৌনে ৩টায় জেগে উঠে একে একে সবাইকে ডেকে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে খেতে বসলেন। খেয়ে উঠে বাসার সবচেয়ে ঘুমকাতুরে তার ছোট ছেলে সাজেদুরকে দ্বিতীয় দফায় ডেকে তুললেন। এদিকে ১২ বছরের নাতি শাহিদকে খেতে বসে বারবার পানি খেতে দেখে হেসে উঠলেন তিনি। বললেন, এতো পানি খেলে তো দাদু বাকি রাত বাথরুমে দৌড়াতে হবে। এ দৃশ্য রাজধানীর বাসিন্দা একটি পরিবারের সেহরি পূর্ব সময়ের। বছরের অন্যান্য অধিকাংশ দিন এ সময়টা নগরবাসীর সবাই গভীর ঘুমে অচেতন থাকলেও শনিবার থেকে মাসব্যাপী সেহেরি খাবেন। পবিত্র রমজান শুরু উপলক্ষে নগরীর সব এলাকার  বাসিন্দারা মধ্যরাতে জেগে উঠবেন। বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে মধ্যরাতে লাইট জ্বলে উঠতে দেখা যায়। মসজিদ থেকে কিছুক্ষণ পর পর মাইকে সেহরির শেষ সময় জানিয়ে ঘোষণা ভেসে আসে। শনিবার রাত থেকেই প্রথম রমজানের সেহরি খাওয়ার রান্নার প্রস্তুুতি শুরু হয়। মধ্যরাতে গৃহিণীরা আগে ভাগে ঘুম থেকে উঠে খাবার গরম করে টেবিলে সাজিয়ে রাখেন। পরিবারের মুরুব্বিদের অনেকেই তারাবির নামাজ আদায় করে এসে না ঘুমিয়ে সেহরি পর্যন্ত জেগে থাকেন। সময় মতো ঘুম না ভাঙাগার আশঙ্কাই তাদের জেগে থাকার কারণ, অনেকে আবার রাতভর ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন। পুরো রমজানজুড়েই চলবে তাদের এ ইবাদত-বন্দেগি। মসজিদের মাইকে ফজরের আজান পড়লে নামাজ পড়ে আবার ঘুমাতে যাবেন তারা। অনেকটা এভাবেই শুরু হয় মুসলিম পরিবারে প্রথম রমজানের সেহরি খাওয়ার পর্ব।এমএমএ

Advertisement