অর্থনীতি

দুপুরেই শেষ বাজারের মুরগি!

শনিবার দিনগত রাতে সেহেরি খেয়েই রোজা রাখবেন মুসল্লিরা। রজমানের প্রথম সেহরিতে একটু ভালো খাবার আয়োজনে ছিল রাজধানীবাসীর আলাদা প্রস্তুতি। তাই বাজারের তালিকায় অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে ছিল মুরগির মাংসও। তাই তো রোজার আগের দিন দুপুর ১২টার মধ্যেই বাজারের সব মুরগি শেষ হয়ে যায়! সংকট দেখা দেয় গরুর মাংস ও মাছেও। সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।বিক্রেতারা বলছেন, প্রথম রোজা উপলক্ষে রোজাদাররা এক সঙ্গে পুরো রমজান কিংবা রমজানের অন্তত প্রথম এক সপ্তাহের বাজার করে ফেলছেন। এজন্য রোজার আগেই বেশি করে কিনে বাসায় ফিরছেন অনেক ক্রেতা। তাই দুপুর থেকেই বাজারে মাছ, মাংস বিশেষ করে মুরগির মাংসের সঙ্কট দেখা দেয়। তাই অনেককে মুরগি কিনতে গিয়ে খালি হাতে বাসায় ফিরতে হয়েছে। সন্ধ্যায় মেরাদিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন যেখানে ব্যবসায়ীদের খাঁচায় শতশত মুরগি দেখা যেতো সেখানে ছিল সবগুলো শূন্য। কোনো মুরগি নেই। ব্যবসায়ীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। একই অবস্থা দেখা গেছে- রামপুরা বাজার, শাহজাদপুর বাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার, শান্তিনগর বাজারসহ নগরীর অন্যানও বাজারেও।মুরগি ব্যবসায়ী ইয়াছিন আরাফাত জাগো নিউজকে বলেন,প্রথম রমজান তো, তাই বাজারে ক্রেতার আগমন ছিল বেশি, বিক্রিও ছিল বেশি। ‘তাই দুপুর ১২টার মধ্যেই সব মুরগি শেষ হয়ে গেছে। এভাবে আরও দু-একদিন চলবে বলে মনে হচ্ছে।’তিনি বলেন, রোজার দু-তিনদিন গেলে আবার বাজার পড়ে যাবে। বেচা-বিক্রিও কমে যাবে। কারণ অনেকেই বেশি করে রোজার আগেই কিনে নিয়েছেন। বাজারের সার্বিক অবস্থা বিষয়ে এই বিক্রেতা বলেন, আজ একটার পর আর বিক্রি করতে পারিনি। মুরগি শেষ হয়েছে।তবে বাজারে আসা অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে অনেক ক্রেতাই হঠাৎ করে মুরগির মাংসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাদের। রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা ইকবাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, গত সপ্তাহে মুরগির মাংস কিনেছি প্রতিকেজি ১৪৫ টাকা করে। কিন্তু আজ সকালে ১৬০ টাকা করে কিনতে হয়েছে। রমজান উপলক্ষে চাহিদা বাড়ায় হঠাৎ দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলোতে পণ্যের দাম  কমিযে দেয়া হয়। যারা ব্যতিক্রম বাংলাদেশে। এখানে কমানোর পরিবর্তে আরও দাম বেড়ে যায়।এমএসএস/এমএমএ

Advertisement