চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাঠে নামার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয় বাংলাদেশ দল। শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারানোয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টাইগারদের আত্মবিশ্বাসও অনেকটা বেড়ে গেছে। আর এই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলনও দেখা গেল পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে। ইংলিশ কন্ডিশনের সঙ্গে ভালো মত মানিয়ে নিয়ে তামিমের সেঞ্চুরি ও ইমরুলের হাফ সেঞ্চুরির পর মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকের রানের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪১ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ।
Advertisement
বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার তামিম ও সৌম্য। তামিম একটু ধীর গতিতে খেললেও সৌম্য রানের চাকা সচল রাখছিলেন। তবে নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশি বড় করতে পারেননি বাঁ-হাতি এই ওপেনার। ব্যক্তিগত ১৯ রান করে জুনায়েদ খানের বলে বাবর আজমকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান টাইগার এই তারকা।
তবে সৌম্যের বিদায়ের পর চেনা রূপে ব্যাট করতে থাকেন এই ব্যাটসম্যান। জুনায়েদ খানের এক ওভারেই তুলেন ২৫ রান। পাকিস্তানের বাকি বোলারদেরও ছেড়ে কথা বলেননি তামিম। ৩৯ বলে ৭ চার ২ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার।
তামিমের পর পাকিস্তান বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ইমরুল। ৪৬ বলে ৭ চারে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানও। তবে এরপর ব্যক্তিগত ৬১ রানে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল। আউট হওয়ার আগে দুইজন মিলে গড়েন ১৪২ রানের জুটি।
Advertisement
ইমরুলের বিদায়ের পর মুশফিককে সঙ্গে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিয়ে যান তামিম। তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরি। তবে এরপর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি তামিম। ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। তামিমের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি মুশফিকও। ব্যক্তিগত ৪৬ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।
তবে উইকেটে এসে রানের গতি পড়তে দেননি সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ ২৪ বলে ২৯ রান করেন। আর সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। আর শেষ দিকে মোসাদ্দেক ১৫ বলে ২৬ রান করলে পাকিস্তানের সামনে ৩৪১ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।
এমআর/জেআইএম
Advertisement