জাতীয়

দুর্যোগ প্রশমনে বিশ্বে প্রশংসিত বাংলাদেশ

‘গ্লোবাল প্লাটফর্ম ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন-২০১৭’ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবেলার বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।দুর্যোগ প্রশমনে দেশের সার্বিক কার্যক্রম এবং ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা ডিক্লারেন্সসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছে।

Advertisement

সম্মেলনে জাপান, ইতালি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা প্রতিবন্ধী সুরক্ষায় বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের অনুরোধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট বক্তব্য রাখেন।মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা প্রায় সবকটি সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশের অবস্থান এবং বিশ্ববাসীর ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পুরো টিমের সমন্বয়ে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে অধিবেশনগুলো সামলিয়ে বাংলাদেশের সাফল্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছেন। সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছে দেশের কার্যক্রমগুলো।

পাশাপাশি এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের এ সম্পর্কিত বক্তব্য ভবিষ্যৎ সাফল্যকে আরও আশাবাদী করে তুলেছে।

সভার শুরুতে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে প্রণিত বাংলাদেশের ‘ন্যাশনাল প্লান ২০১৬-২০২০’ প্রসংশিত হয়।

Advertisement

বাংলাদেশের নেয়া ব্রিজ-কালভার্ট, বজ্রপাত মোকাবেলায় সনাতন পদ্ধতি হিসেবে তালগাছ রোপন, প্রত্যন্ত এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ঘূর্ণিঝড় ও উপকূলীয় জলোচ্ছ্বাস পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তৈরি ও প্রশিক্ষণ, দুর্যোগের ক্রান্তিকালে আলোর ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের আলোকে বিকল্প জ্বালানির উৎস হিসেবে সোলার প্যানেল কার্যক্রমে প্রশংসা করেন জাপান, ইতালি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা।

দুর্যোগে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ভূয়সী প্রশংসা করেন থাইল্যান্ড, মেক্সিকো ও অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীরা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় তারা প্রশংসা করেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বাংলাদেশের নেয়া উদ্যোগগুলো ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে পারলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এসডিজি অর্জনে সক্ষম হবে।

দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে বাংলাদেশ সরকার জনসচেতনাতকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা প্রায় জনগণই সম্পন্ন করতে পারে। দুর্যোগে উপকূলবাসীর আশ্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত সাইক্লান সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। আরও অনেক নির্মাণাধীন রয়েছে। মুজিব কেল্লাগুলোকেও সংস্কার করা হচ্ছে। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।

Advertisement

এফএইচএস/বিএ/এএইচ/আরআইপি