নাসির হোসেন যতদিন ছিলেন, ততদিন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স যেন একা তার কাঁধে ভর করে এগিয়ে চলছিল। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে চলে যাওয়ার পর গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও যেন কিছুটা ফিকে হতে শুরু করে। যার ফল পাওয়া গেলো সর্বশেষ দুই ম্যাচে। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে গাজী হেরে গিয়েছিল কলাবাগানের কাছে। সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে হেরেছে মোহামেডানের কাছে।
Advertisement
অবশেষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে দেশে ফিরেছেন নাসির এবং গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও যেন প্রাণ ফিরে পেলো। সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে গাজীর হয়ে মাঠে ফিরেই ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন। নাসির এবারও ব্যাট হাতে বুঝিয়ে দিলেন জাতীয় দলে বার বার তাকে উপেক্ষা করাটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপের অধিনায়ক নাসির হোসেন ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন। শেখ জামালের বোলারদের একের পর এক পাঠালেন মাঠের বাইরে। ১১৩ বল খেললেন। বাউন্ডারি মারলেন ৭টি এবং ছক্কা মারলেন ৬টি। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রান করে মাঠ ছেড়ে উঠে যান। প্রচণ্ড গরমের কারণে আর উইকেটে থাকা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। তার ১৩৪ রানের ওপর ভর করে গাজীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫০ রান।
তবে তার আগেই যা করার করে দিয়ে গেছেন দলের জন্য। টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর দলীয় ৭ রানেই এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় গাজী। এরপর মুনিম শাহরিয়ার এবং মুমিনুল হক গড়েন ৭৪ রানের জুটি। ৩৩ বলে ৩৫ রান করে আউট হন মুনিম শাহরিয়ার। এরপরই মাঠে নামেন নাসির। মুমিনুল হককে নিয়ে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। ৬১ বলে ৬৬ রান করে আউট হন মুমিনুল হক।
Advertisement
জহুরুল ইসলাম অমি ৬ রান করে আউট হয়ে গেলে ভারতীয় ক্রিকেটার গুরকিরাত সিংকে সঙ্গে নিয়ে ১৪৭ রানের জুটি গড়েন নাসির। ৬০ বলে ৭৪ রান করেন গুরকিরাত। এরপরই অবশ্য মাঠ ছেড়ে উঠে যান নাসির। ততক্ষণে নিজের উপেক্ষার জবাব ব্যাট হাতে দিয়ে দিলেন তিনি।
ব্যাট হাতে একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পরও জাতীয় দলে সুযোগ পান না নাসির। গাজীর হয়ে প্রিমিয়ারের প্রথম ম্যাচেই মোহামেডানের বিপক্ষে খেলেছিলেন অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস। এক ম্যাচে ৪১ রানে অপরাজিত আরেক ম্যাচে করেন ৬৪ রান। আজ শেখ জামালের বিপক্ষে ১০৪ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করার পর ১১৩ বলে খেলেন ১৩৪ রানের ইনিংস।
ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। শেষ ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয় তাকে। এই ম্যাচে ব্যাট করার প্রয়োজন হয়নি তার। তবে বল হাতে ৪৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এরপরই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেই তিনি। তাকে দলে রেখে যে ভুল করেছেন নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্ট সেটার মোক্ষম জবাব প্রথম সুযোগেই ব্যাট হাতে দিয়ে দিলেন নাসির।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement