সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে শীর্ষে থাকা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টি ক্লাব; কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে এ কোন মোহামেডানকে দেখলো ভক্তরা। যে মোহামেডান টানা দুই ম্যাচে তিনশ’র বেশি রান করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল, তারাই কি না আজ অলআউট হয়ে গেলো মাত্র ১০০ রানে। শুধু তাই নয়, মোহামেডানের এই ১০০ রান মাত্র ১৫.৩ ওভারেই টপকে গেলো আবহানী ৫ উইকেট হারিয়ে।
Advertisement
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মোহামেডানের অধিনায়ক শামসুর রহমান শুভ। ব্যাট করতে নেমে শুভই সর্বোচ্চ ২৩ রান করতে সক্ষম হন। মূলতঃ আবাহনীর ভারতীয় বোলার মনন শর্মা এবং সাকলায়েন সজীবেই বিধ্বস্ত হয়েছে মোহামেডান।
সৈকত আলিকে নিয়ে ৩২ রানে জুটি গড়ার পর ২৩ রান করে বিদায় নেন শামসুর রহমান শুভ। এরপরই মূলতঃ মড়ক লাগে। এই মড়ক থামাতে পারেনি আর কোনো ব্যাটসম্যান। সৈকত আলি ১০, তাইজুল ইসলাম ১৪, নাজমুল মিলন ১৭ এবং সাজেদুল ইসলাম করেন ১৬ রান। শেষ পর্যন্ত ৩৩.৪ ওভারে ১০০ রান তুলতেই অলআউট মোহামেডান।
মনন শর্মা ২১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। সাকলায়েন সজীব ২৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আবু জায়েদ রনি নেন ২ উইকেট। ১ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
Advertisement
জবাব দিতে নেমে মোহামেডানও পড়েছিল বিপদে। লিটন কুমার আর সাদমান ইসলাম মিলে ওপেনিং জুটিতে ৬১ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু ২২ বলে দ্রুত গতিতে ৫০ রান করার পর আউট হয়ে যান লিটন কুমার। দারুণ ব্যাটিং করেন তিনি। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে মোহামেডানের বোলারদের বিধ্বস্ত করে ছাড়েন তিনি।
শেষ দিকে মোহাম্মদ মিথুন ১২ বলে করেন ১৬ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৮ রান করে এবং আফিফ হোসেন ও কাজী অনিক কোনো রান না করেই ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত শুভাগত হোম এবং সাদমান ইসলাম মিলে আবাহনীকে ১৫.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। জুবায়ের হোসেন এবং শামসুর রহমান ২টি করে এবং সাজেদুল ইসলাম নেন ১টি উইকেট।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement