টাইব্রেকারের চতুর্থ শটে উত্তম কুমার বনিক গোল করতে পারলে শেখ রাসেলের আশা বেঁচে থাকতো; কিন্তু উত্তম পারেননি দাঁতে দাঁত কামড়ে দাঁড়িয়ে থাকা তার সতীর্থদের মুখে হাসি ফোটাতে। তিনি বলটি মারলেন ক্রসবারের উপর দিয়ে। তাতেই ফয়সালা হয়ে যায় ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল।
Advertisement
চট্টগ্রাম আবাহনী ৪-২ গোলে জিতে পৌছে যায় সেমিফাইনালে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ও শেখ রাসেলের কোয়ার্টার ফাইনালের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে খেলা ১-১ গোলে শেষ হলে টাইব্রেকারে ফলাফল নিস্পত্তি হয়।
শেখ রাসেলের টাইব্রেকার ভাগ্যটাই বোধহয় খাবার। গ্রুপ পর্বে শেখ জামালের কাছেও তারা হেরেছিল টাইব্রেকারে। দুই দলের পয়েন্ট সমান হওয়ায় স্থান নির্ধারনের জন্য সরাসরি ট্রাইব্রেকার হয়েছিল ওই ম্যাচে। সে হারে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি ব্লুজদের; কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে দর্শক হয়ে গেলো সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। আর প্রথমবারের মতো ফেডারেশন কাপ জেতার স্বপ্নটা বেঁচে থাকলো চট্টগ্রাম আবাহনীর।
টাইব্রেকার রাসেলের প্রথম সর্বনাশটা হয়েছিল কাওসার রাব্বি প্রথম মিস করলে। তার নেয়া শট চলে যায় ক্রসবার উঁচিয়ে। মানসিকভাবে এগিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়রা লক্ষ্যভেদ করে দলকে নিয়ে যান সেমিতে। টাইব্রেকার চট্টগ্রাম আবাহনীর গোল করেছেন ওদুকা আলিসন, জনি, সোহেল রানা ও সবুজ। শেখ রাসেলের গোল করেছেন দাউদা সিসে ও বিশ্বনাথ।
Advertisement
নির্ধারিত সময়ের খেলায় শেখ রাসেল এগিয়ে গিয়েও গোল ধরে রাখতে পারেনি। ১০ মিনিটে মিশুর কর্নার থেকে বেনজামিনের হেড চলে যায় নয়নের সামনে। কোনো ভুল করেননি তিনি, গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি চট্টগ্রাম আবাহনী। অনেকটা একক নৈপূন্যেই আবাহনীকে ম্যচে ফেরান এ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা জাহিদ হোসেন।
নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আক্রমন ও পাল্টা আক্রমনের অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায়ও কোনো পক্ষ গোল করতে না পারলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement