পাঁচ মাস আগেও চিন্তা করিনি শহরের দায়িত্ব নিতে হবে, মেয়র হবো। আগেও সংগ্রাম করেছি। তখন ছিল শিল্প ইন্ড্রাস্ট্রি কেন্দ্রীক সংগ্রাম। এখন সে সংগ্রামের রুপ বদলেছে। এখনকার সংগ্রাম হবে সবার জন্য মেয়র হিসেবে।রোববার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদের সংবর্ধনাত্তোর বক্তব্যে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক এসব কথা বলেন।আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী মেয়র হিসেবে শপথ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করে যেতে হবে। সে বক্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আমি শতভাগ সততা চেষ্টা করবো।তিনি আরো বলেন, আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন বা দেননি সকলকে নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে চাই। দলীয় বিবেচনা নয় আমাদের সম্পর্ক হবে আন্তরিকতার, উন্নয়নের, কাজের সম্পর্ক। সবাই চেষ্টা করবো রাজধানীতে আরও কিভাবে স্বস্তি ও নিরাপত্তা আনা যায়।এক ব্যক্তি আনিসুল কিংবা মেয়র কিচ্ছু করতে পারবে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, উন্নয়নের জন্য দরকার সবার সামগ্রিক প্রায়াস। সবাই সহযোগীতা করলে উন্নয়ন অবশ্যই সম্ভব।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ-এর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তব্যে তিনি বলেন, দুই সিটির মেয়র বিজিএমইএ এর মেয়র। ব্যবসায়ীদের মেয়র।দুই মেয়রকে অনুরোধ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রাজধানী থেকে পোষাক শিল্প কারখানায় যেতে সময় বেশি লাগে। বিমানবন্দরে বিদেশী বায়ার ও ক্রেতা সংশ্লিষ্টরা এসে ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। এসম নিরসনে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।আতিকুল ইসলাম বলেন, পোষাক কারখানায় প্রোডাকশন খরচ বেড়েছে। এজন্য ব্যবসায়ীদের লভ্যাংশও কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পোষাক শিল্পের উপর যে সরকারি ভ্যাট রয়েছে তা যদি কমানো যায় তবে কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমইএ এর আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণের নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকন, বিকেএমইএ সেলিম ওসমান, বিটিএমইএ এর সভাপতি তপন চৌধুরি, এছাড়া বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, চেম্বার অব ইন্ড্রাস্ট্রির মালিক ও উর্ধ্বোতন কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত কাউন্সিলরবৃন্দ।জেইউ/এএইচ/আরআই
Advertisement