প্রথম ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ভোটার বৃদ্ধি কম হলেও দ্বিতীয় ধাপে ভোটার বেড়েছে। গত ১৫ থেকে ২৪ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ শেষে ভোটার বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। প্রথম ধাপে এ হার ছিল ৪ শতাংশের নিচে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।দ্বিতীয় ধাপের ২১৮ উপজেলায় হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব রিপোর্টে অধিকাংশ উপজেলায় ৫ শতাংশের উপরে ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।জানা যায়, ২১৮ উপজেলার তথ্য সংগ্রহে বেশিরভাগই ৫ শতাংশের উপরে। দু-এক স্থানে কম হলেও অনেক উপজেলায় ৬ শতাংশের বেশি ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬ শতাংশের উপরে ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে কক্সবাজারের উখিয়ায় ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, চকরিয়ায় ৬ দশমিক ২২ শতাংশ, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, ইটনায় ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, বাজিতপুরে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, মিঠামইনে ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, নাংগলকোটে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, কড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, গাজীপুরের শ্রীপুরে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, সদরে ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ, মুকসুদপুরে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ, চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ, ফটিকছড়িতে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ, সীতাকু-ে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ, চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ, হাইমচরে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, হাজিগঞ্জে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ।জামালপুরের মাদারগঞ্জে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ঝালকাঠি সদরে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মহেশপুরে ৯ দশমিক ০২ শতাংশ, টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। নওগাঁর পোরশায় ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, সাপাহারে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ, নরসিংদীর বেলাবোতে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, মনোহরদীতে ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, নীলফামারীর জলঢাকায় ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, ডোমারে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ।নোয়াখালী সদরে ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ, সোনাইমুড়িতে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, পটুয়াখালীর দুমকীতে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, নগরকান্দায় ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সালথায় ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, পরশুরামে ৭ দশমিক ২১ শতাংশ, বগুড়ার শাহজাহানপুরে ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, তালতলীতে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।বরিশালের হিজলায় ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, বাগেরহাটের ফকিরহাটে ৮ দশমিক ০৯ শতাংশ, মোড়লগঞ্জে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ, রামপালে ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, শরণখেলায় ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ, বান্দরবনের লামায় ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।ভোলার তজুমদ্দিনে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, বড়লেখায় ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, রাজনগরে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, গৌরীপুরে ৮ দশমিক ২১ শতাংশ।ধোবাউড়ায় ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ, রাংগামাটিতে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, রাজবাড়ির বালিয়াকান্দিতে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, লক্ষীপুরের কমলনগরে ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ, রামগতিতে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ, রায়পুরে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, জাজিরায় ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ, সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, কালিগঞ্জে ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, শ্যমনগরে ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ।সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, কামারখন্দে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটের গোপালগঞ্জে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, জকিগঞ্জে ৭ দশমিক ০২ শতাংশ, দক্ষিণ সুরমায় ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বালাগঞ্জে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।সুনামগঞ্জের ছাতকে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, বাহুবলে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ ও লাখাই-এ ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ ভোটার বেড়েছে।এছাড়া এ ধাপে সবচেয়ে কম ৩ শতাংশের নিচে ভোটার বেড়েছে জয়পুরহাটে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ।উল্লেখ্য, প্রথম ধাপের ১৮১ উপজেলার পর দ্বিতীয় ধাপে ২১৮ উপজেলার তথ্য সংগ্রহ শেষ করেছে ইসি। তৃতীয় ধাপে ১১৫ উপজেলায় ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর হালনাগাদ কাজ চলবে।
Advertisement