খেলাধুলা

চাপেই ভালো খেলেন মুশফিক

মুশফিকুর রহীম যখন ব্যাটিংয়ে এলেন, বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন জমা ছিল ৩ উইকেটে ১৪৮ রান। লক্ষটা ছিল ২৭২ রানের। তার ওপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাকিব আল হাসান আউট হয়েছেন। তাছাড়া বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে গেলে কী যেন হয় টাইগারদের!

Advertisement

রাজ্যের সব চাপ জমা হয়েছিল মুশফিকের ওপর! প্রচণ্ড চাপের মাঝেও বিচলিত হয়নি। ছিলেন অবিচল। ছোট কাঁধেই মুশফিক তুলে নেন বড় দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে শতভাগ সফল তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন বিশাল পথ। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে করেছেন ৭২* রান।

শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠে ছেড়েছেন মুশফিক। ডাবলিনের ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাবে গড়ানো ম্যাচটিতে বাংলাদেশের জয়টা ৫ উইকেটের। বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই টাইগারদের প্রথম জয়। সত্যিই অসাধারণ!

ব্যাট হাতে মুশফিকের অবদান ৪৫ রান। মজার বিষয়, তার মোকাবেলা করা বলের সংখ্যাও সমান, ৪৫। মুশফিকের ইনিংসটি সাজানো ৩টি চার ও একটি ছক্কায়। চাপের মাঝে অবিচল থাকার পুরস্কারও পেয়েছেন মুশফিক। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন এই উইকেটরক্ষক। পরে জানালেন, চাপেই ভালো খেলেন তিনি। ওই সময়ে ব্যাটিংটা উপভোগ করা তার পছন্দের।

Advertisement

মুশফিকের কণ্ঠে বেজে উঠল এমন সুরই, ‘চাপ তো ছিলই। হ্যাঁ, ওই সময়ের ব্যাটিংটা বেশ উপভোগ করেছি আমি। আমাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে নিউজিল্যান্ডকে কম রানে বেধে রাখতে সক্ষম হয়েছি। বোলারদের তাই কৃতিত্ব দিতেই হবে।’

ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ। চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড (১২ পয়েন্ট)। শেষটা রাঙালেও বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে রানার্স-আপ হয়েই (১০ পয়েন্ট)। বাংলাদেশের পরবর্তী মিশন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ওই টুর্নামেন্টের আগে ভালো প্রস্তুতিই হলো বাংলাদেশ দলের।

মুশফিকের ভাষায়, ‘আমরা ভালো খেলতে পারি। দেশের বাইরে ভালো খেলার সুযোগটা কাজে লাগানোর অপেক্ষায় ছিলাম। সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যেহেতু দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। আমি বলব- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য খুব ভালো প্রস্তুতিই হলো আমাদের।’

এনইউ/পিআর

Advertisement