জাতীয়

দুদকে অভিযোগ বাড়লেও কমেছে মামলা

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ২০১৫ সালে চেয়ে ২০১৬-তে অভিযোগ বেশি জমা পড়ছে। তবে আগের বছরের তুলনায় কমেছে মামলার সংখ্যা। দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৬ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

বুধবার দুদকের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে দুদকের বার্ষিক প্রদিবেদন-২০১৬ পেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সকল পর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে দুদকের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে তৃণমূলসহ সকল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক প্রতিরোধ সব রকমের দুর্নীতির রোধে সহায়ক হবে।

এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলো সময় মতো নিষ্পত্তি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দুদক প্রতিনিধিদলকে উপদেশ দেন।

Advertisement

দুদক প্রধান সংস্থার সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং গত বছরের সাফল্য সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন এবং দুদকের কর্মকাণ্ড আরও জোরদারে রাষ্ট্রপতির সমর্থন ও দিক-নির্দেশনা কামনা করেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ২০১৬ সালে দুদক ১২ হাজার ৯৯০টি দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭টি অভিযোগ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে দুদক। ৫৮৮টি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

এ ছাড়া দুদক ২০১৬ সালে ৩৫৯টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান দুদক প্রধান।

দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, আ ফ ম আমিনুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আরএস/পিআর