রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে প্রায় প্রতি তিন মিনিটে একজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। কলেরা হাসপাতাল হিসেবে সমধিক পরিচিত এ হাসপাতালে গত সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ছিল ৪শ’ জন।
Advertisement
মৃদু দাবদাহজনিত কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫শ’ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের অধিকাংশই আইসিডিডিআরবির স্বল্প মেয়াদের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ইনচার্জ ডা. আয়েশা বেগম বুধবার দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দেড় শতাধিক বেড়েছে। এক সপ্তাহের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১৮ মে আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০৭ জন। পরবর্তী ছয়দিনে রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪৬৫ জন, ৪৫৩ জন, ৫৩৭ জন, ৫৩২ জন, ৫২৫ জন ও মঙ্গলবার ৫৫২ জনে বৃদ্ধি পায়। ফলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
আইসিডিডিআরবির চিকিৎসক ডা. আজহারুল ইসলাম বলেন, রোগীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তাদের কাছে এ সংখ্যা স্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবেই বর্ষাকাল শুরু হওয়ার আগে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে উচ্চতাপমাত্রার কারণে গত কয়েকদিন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে ও এর সঙ্গে অন্যান্য কারণে (রাস্তাঘাটে খোলা খাবার, শরবত, পচা ও বাসি খাবার) ডায়রিয়া হতে পারে। গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে বেশি বেশি পানি পান করা উচিত বলে তিনি জানান।
Advertisement
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত দূষিত পানি পান ও খাবার খাওয়ার ফলে পানিবাহিত এ রোগটি হচ্ছে। জীবিকার সন্ধানে ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও রিকশাচালকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন। অত্যধিক গরমের কারণে মানুষ প্রচুর পরিমাণে ঘামছে। গরমে স্বস্তি পেতে রাস্তার ধারে বরফমিশ্রিত বিভিন্ন ধরনের শরবত ও ফলমূল (আখ, লেবু, বেল, আনারস, আম ইত্যাদি) খাচ্ছেন। দূষিত পানির শরবত ও খোলা পরিবেশে ধুলাবালি মিশ্রিত ফলমূল খেয়ে ডায়রিয়া হচ্ছে।
এমইউ/জেডএ/ওআর/জেআইএম