কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক ডাকাতি প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশ-ডাকাত বন্দুকযুদ্ধে একজন ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় ডাকাতের গুলিতে আহত হয়েছেন পুলিশের ৪ সদস্য। গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটলে পুলিশ ১টি এলজি, ৩টি কিরিস, ১টি রামদা ও ৫ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে। শনিবার দুপুরে চকরিয়া-লামা সড়কের কুমারী ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, একদল ডাকাত সড়ক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। সড়কে ব্যারিকেট দেয়ার আগেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক গোলাগুলির পর ডাকাতদল পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ডাকাত খারশেদ আলম ছুট্টোকে (৩৭) আটক করে। তাকে পুলিশ হেফাজতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে পরে তিনি মারা যান। ছুট্টো চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ফজল রহমান সিকদার পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে। পুলিশ আরো জানায়, বন্দুকযুদ্ধে ডাকাতের ছোড়া গুলিতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন, শাহাদাত হোসেন, কসস্টেবল বিকাশ চাকমা ও সঞ্জয় কুমার আহত হয়েছেন। তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গোলাগুলির সময় পুলিশ ১১ রাউন্ড ও ডাকাতরা প্রায় ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়েন বলে উল্লেখ করে পুলিশ ।চকরিয়া থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) কামরুল আজম তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটক গুলিবিদ্ধ ডাকাত খোরশেদ অস্ত্র-ডাকাতিসহ ৬টি মামলার পলাতক আসামি। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এসআই রুহুল আমিন বাদী হয়ে অস্ত্র, পুলিশ অ্যাসল্ট ও ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেছেন। সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/আরআইপি
Advertisement