বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরে আর কোনো আইনি বাধা নেই। কারচুপির অভিযোগে সমিতির নির্বাচন বাতিল চেয়ে আদালতে করা আবেদনে স্থগিতাদেশ দেয়ায় দায়িত্ব হস্তান্তরের এ বাধা কাটল।
Advertisement
এর আগে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী রমিজ উদ্দিন ঢাকার নিম্ন আদালতে এ আবেদন করেন। জাগো নিউজকে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী কাওসার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রমিজ উদ্দিন নিম্ন আদালতে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ক্ষমতা (দায়িত্ব) হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বিবাদী ছিলেন নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর, আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন দিলু ও শিল্পী সমিতির বিদায়ী সভাপতি শাকিব খান।
‘পরে এই আবেদনের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে আপিল আবেদন করেন বিবাদীরা। গত ২০ মে তা বহাল রেখে আদেশ দেন আদালত। পরে জেলা দায়রা জজের আদালতে আপিল করেন তারা।’
Advertisement
এই আইনজীবী আরও বলেন, বিবাদীদের আপিল আমলে নিয়ে জেলা জজ আদালত আবেদনের নথি তলব করেন। সেখানে জমা দেয়া কাগজপত্রে জালিয়াতি ধরা পড়ে। পরে যেহেতু কাগজপত্রের কোনো ভিত্তি নেই, তাই জেলা জজ আদালতের জজ কুদ্দুস জামান রমিজ উদ্দিনের আবেদন স্থগিত করে দেন।
‘এখন আর আইনিভাবে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে কোনো বাধা রইলো না,’ বলেন তিনি।
আইনজীবী কাওসার হোসেন বলেন, জালিয়াতি করে হয়রানির অভিযোগে এখন বিবাদীরা চাইলে বাদী রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে বিবাদী নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, আদালতের আদেশে এখন আর নতুন কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধা নেই। আর আমরা বাদীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেব কি না- সেটা আগামীকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন করে জানাবো।
Advertisement
একই দিন এফডিসিতে (বিএফডিসি) সংবাদ সম্মেলন করে আদালতের রায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ওইদিনই আবার নতুন কমিটির কাছে দায়িত্বও বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে গত ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মে সকালে নির্বাচনের ফলাফলে ফল প্রকাশ হলে নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক হন জায়েদ খান।
এরপর ১১ মে নির্বাচনে কার্যকরী সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী রমিজ উদ্দিন ভোটে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে নিম্ন আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
এলএ/এমএমএ/আরআইপি