জাতীয়

মদ সম্পর্কে জানেন না রেইন ট্রির এমডি

রাজধানীর বনানীর হোটেল রেইন ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন বলেছেন, শুল্ক ফাঁকির বিপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিয়েছি। শুল্ক গোয়েন্দা ডকুমেন্ট পেয়ে সন্তুষ্ট। হোটেলটির বারের কোনো লাইসেন্স নেই। মদ কিভাবে এসেছিল তা জানি না। কিভাবে হোটেলটিতে মদ গেলো এবং আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর আগেই জন্মদিনের পার্টির আয়োজন কিভাবে হয়েছিল তাও তদন্ত করছি। মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। তলবি নোটিশে সাড়া দিয়ে বেলা ১১টায় শুল্ক গোয়েন্দার সদর দফতর কার্যালয়ে হাজির হন আদনান হারুন। হোটেলে সঙ্গে আসেন চাচা মজিবুল হক কামাল, ফুফা আকবর হোসেন মঞ্জু, ফুফাতো ভাই হাসিব রুমি ও আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেল পৌনে ৩টায় শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে বের হন আদনান হারুন। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের ভ্যাট শুল্ক ফাঁকি ও মদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। আমরা শুল্ক ফাঁকির বিপক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছে। তা তারা (শুল্ক গোয়েন্দা) যাচাই করে খতিয়ে দেখবেন।তিনি বলেন, আমাদের বারের কোনো লাইসেন্স নেই। সুতরাং কিভাবে হোটেলে মদ এসেছিল তা জানি না। তাহলে কি আপনাদের সিকিউরিটি ও ম্যানেজম্যান্ট নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের সিকিউরিটি ও ম্যানেজম্যান্ট অনেক শক্তিশালী। তবে হোটেলটি উদ্বোধনের আগেই অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় কোনো কর্মচারীর মাধ্যমে হোটেলে মদ ঢুকেছিল কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখবো।

Advertisement

জেইউ/আরএস/এমএস