পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আইজাজ চৌধুরী বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকবাহী হেলিকপ্টারটি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। কোনো নাশকতামূলক তৎপরতায় এম-১৭ হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা সরাসরি নাকচ করে দেন তিনি। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা গেছে বলেও জানান তিনি। শুক্রবার সকালে গিলগিট উপত্যকায় পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ওই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দেশটিতে নিযুক্ত নরওয়ে ও ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতসহ আটজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে হেলিকপ্টারের দুই পাইলট এবং ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতদের স্ত্রীও ছিলেন। এ ছাড়া, ইন্দোনেশিয়া, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারে ১১ জন বিদেশি ও ৬ পাকিস্তানি আরোহী ছিল। পররাষ্ট্র সচিব হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে বলেন, এটি একটি নিছক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনা যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে। অবতরণ স্থানের কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছানোর পর হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় বলেও জানান তিনি। এম-১৭ হেলিকপ্টারটিকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্ভিস করা হতো উল্লেখ করে তিনি জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার ১১ ঘণ্টা আগে এম-১৭ হেলিকপ্টারকে সর্বশেষ সার্ভিস করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) হেলিকপ্টারটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার যে দাবি করেছিল পাক পররাষ্ট্র সচিব তাকে ডাহা মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি ছিল না উল্লেখ করে আইজাজ চৌধুরী বলেন, ওই এলাকায় প্রায় ১,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। ওই এলাকার সব সুবিধাজনক পাহাড়ের চূড়া নিরাপত্তা বাহিনীর দখলে রয়েছে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনায় আহত রাষ্ট্রদূতদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কেও অবহিত করেন পাক পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের শরীরের ৭৫ শতাংশ আগুনে ঝলসে গেছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।নেদারল্যান্ড এবং পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতরা যথাক্রমে ঘাড়, মাথা এবং মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছেন। তবে তারা দু`জনই শঙ্কামুক্ত।বিএ/আরআইপি
Advertisement