কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা পূর্ব) ড. এ কে এম নুরুজ্জামান বলেছেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়িত হলে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। ফলে মাথাপিছু আয় বাড়বে। যুগোপযুগী এ আইন বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
Advertisement
সোমবার রাজধানীর রমনা পার্কে ইউরো এশিয়ানো রেস্টুরেন্টে ঢাকা পূর্ব কমিশনারেটের সূত্রাপুর এবং রূপগঞ্জ বিভাগের সহযোগিতায় অনলাইনভিত্তিক ভ্যাট ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতনতা-বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনের উপর আমাদের অংশীজন, এফবিসিসিআই, স্থানীয় চেম্বার প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীদের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় নতুন ভ্যাট আইনের ধারা ও বিধিমালার বিস্তারিত আলোচনায় করদাতা ও ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ কে এম নুরুজ্জামান বলেন, দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
Advertisement
তার মতে, দেশের উন্নয়নের জন্য প্রত্যেককে সক্ষমতা অনুযায়ী কর দেয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশে পদ্মা সেতুর মতো বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, আর এ জন্য প্রয়োজন সবাইকে সক্ষমতা অনুযায়ী কর প্রদান করা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন ব্যতীত আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আর এই এগিয়ে চলার পেছনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করছে এ দেশের ব্যবসায়ীগণ। যত বেশি কর দেবে তত বেশি দেশের উন্নয়ন হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ব্যবস্যাবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ভ্যাট হার কমিয়ে নতুন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ সংশোধন দরকার।
এমএ/বিএ
Advertisement