আন্তর্জাতিক

বাম আন্দোলনে রণক্ষেত্র কলকাতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় রাজ্য সচিবালয় নবান্ন চত্বরে ১১দলীয় বামপন্থীদের ঢুকতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বামদের সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে গণমাধ্যম কর্মীরাও আহত হয়েছেন।

Advertisement

সংঘর্ষে বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহারের পাশাপাশি ক্যাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় বামদলগুলোর প্রায় চার শতাধিক কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার কর্মী।

বামদের নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে আগে থেকেই হাওড়া ও কলকাতায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নামানো হয় র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্সও। কলকাতার মেয়ো রোড, হেষ্টিংস রোড, খিদিরপুর, শিবপুর ফেরোশোর রোডে বাম কর্মীদের মিছিলে বাধা দেয়ার ঘটনায় দফায় দফায় সংঘর্ষে এসব এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

প্রথমে রানি রাসমণি সড়কের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। বাধ্য হয়ে মিছিল ভিন্নপথে ঘুরিয়ে নেয় বাম নেতারা। একদল প্রেসক্লাবের পাশ দিয়ে ও অন্যদল ধর্মতলা হয়ে মেয়োরোডের পাশ দিয়ে যেতে শুরু করে। পরিস্থিতি বুঝে আগেই ইডেন গার্ডেন অভিমুখে ও ফোর্ট উইলিয়াম অভিমুখে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের বাধায় এগোতে না পেরে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গণমাধ্যমের কর্মীরাও আহত হন।

এছাড়া নবান্ন চত্বরে যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। সমর্থকদের নিয়ে তিনি উত্তর ফটক দিয়ে নবান্ন চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। অন্যদিকে সাঁতরাগাছি থেকে নবান্নের দিকে যাওয়ার পথে হাওড়ার ব্যাতরে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। সেখানে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে।

কেএ/এসআইএস/এমএস

Advertisement