জাতীয় সংসদের একটি ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করছেন ৩০ নারী। একজন প্রধান শেফ ছাড়া সেখানকার সব দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করছেন তারা।
Advertisement
একই সঙ্গে তারা ক্যাফেটির উদ্যোক্তা ও কর্মী। ছিমছাম সুন্দর পরিবেশে এখানে শুধুমাত্র সংসদ সদস্যদের বসার ব্যবস্থা আছে। তবে যে কেউ খাবার কিনে বাইরে খেতে পারেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জয়িতা ফাউন্ডেশনের আওতায় ক্যাফেটি পরিচালিত হচ্ছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী চলতি বছরের ৯ মার্চ এটির উদ্বোধন করেন।
জয়িতা নামে ক্যাফেটি জাতীয় সংসদ ভবনের নবম তলায় অবস্থিত। এখানে যাতে সংসদের সকল সদস্য একসঙ্গে বসে খেতে পারেন সেই দাবি জানিয়েছেন ক্যাফের উদ্যোক্তারা।
Advertisement
সোমবার ক্যাফেটেরিয়া ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান শেফের পরামর্শে কেউ রান্নার কাজে ব্যস্ত, কেউ কেউ পরিবেশনা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। ক্যাফেটেরিয়ায় কর্মরতরা লাভের ৭৫ শতাংশ পাচ্ছেন। তাই সব কাজ নিজের মতো করে করেন- জাগো নিউজকে এমন তথ্য দেন এক কর্মী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে জায়গা দেয়া ছাড়াও ডেকোরেশনের কাজ করে দেয়া হয়েছে। আর মূলধন জুগিয়েছে মন্ত্রণালয়। কিন্তু ক্যাফেতে প্রবেশের আগে আরেকটি ক্যাফেটেরিয়া পেরিয়ে যেতে হয়। সেটি অত্যন্ত নোঙরা ও খোলামেলা।
ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মিতা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এখানকার খাবার স্পিকার ম্যাডাম খুব পছন্দ করেন। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে জয়িতা। অধিবেশন চলাকালীন রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। অধিবেশনের সময় বিকেলে স্ন্যাকস বেশি বিক্রি হয়।
হালিমা আকতার নামে এক কর্মী জাগো নিউজকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এখানে এমপিরা ছাড়া আর কেউ বসতে পারেন না। তবে সবাই খাবার কিনে নিয়ে অন্য জায়গায় খেতে পারেন। বিষয়টি আমাদের কাছে ভালো লাগে না। আমাদের এখান থেকে কিনে অন্য জায়গায় কেন বসে খাবেন তারা?
Advertisement
এছাড়া এমপিরা তো ব্যস্ততার জন্য সব সময় আসতে পারেন না। তাই আমাদের বিক্রি কম। এখন আমরা বাধ্য হয়ে অনেককে এখানে বসতে দিচ্ছি। যাতে আমাদের বিক্রি বাড়ে, লাভের মুখও দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাফেটেরিয়ায় সকালের নাস্তা হিসেবে রুটি, ডিম-অমলেট, ডালসহ সবজি ৬০ টাকায় পাওয়া যায়। এছাড়া একই দামে ডাল ও সবজির বদলে হালুয়া পাওয়া যায়। খিচুড়ির সঙ্গে ডিমভুনা, আচারও পাওয়া যায় ৬০ টাকায়।
দুপুরের খাবার মেনুতে আছে ভাত, ভর্তা মাছ ও সবজি, সঙ্গে দেশি মুরগিও। দাম পড়বে ১৬০ টাকা। বিকেলে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাক্স। সারাদিন বিভিন্ন ধরনের চা-তো আছেই।
জাতীয় সংসদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিলকিছ বেগম জানান, জয়িতার পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। সেখানকার বিশাল জানালা দিয়ে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। কিন্তু সবাই সেখানে বসতে পারেন না। ফলে বিক্রিও কম।
এইচএস/এমএআর/এমএস