সঞ্চয়পত্রের সুদহার আবারও কমাতে বাজেটের পরই সংশ্লিষ্ট কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক ঋণে সুদহার কমাতে হলে অন্যান্য সেভিংসের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রে সুদের হার সমন্বয় করতে হবে।’ এজন্য তিনি এ সংশ্লিষ্ট কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানান।রোববার সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এক ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণে সুদহার হ্রাসের দাবি জানালে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য সেভিংসে সুদহার কমানোর বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটি আছে। তারাই এটি নির্ধারণ করে। বাজেটের মাসেই তাদের সঙ্গে আমি বসব।’এদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজার ও ব্যাংকমুখী করতে অনেক আগে থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।সূত্র জানায়, সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার চায় পেনশনার, নারী ও বয়স্ক জনগোষ্ঠী যারা সঞ্চয়ের ওপর নির্ভরশীল তাদের সুবিধা অব্যাহত রাখতে। সে ক্ষেত্রে কী কী করণীয় তা পর্যালোচনা করবে কমিটি। পাশাপাশি সুদহার কমালে এর প্রভাবসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে কাজ করবে কমিটি।২০১৫ সালের জুনে পাঁচ ও তিন বছর মেয়াদী পারিবারিক ও পেনশনসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের সুদহার প্রতিক্ষেত্রে দেড় থেকে ২ শতাংশ কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রজ্ঞাপনের আগে পাঁচ বছর মেয়াদী পারিবারিক ও পেনশন সঞ্চয়পত্র কিনলে সরকার ১৩ দশমিক ৪৫ ও ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ হারে সুদ দিতো। প্রজ্ঞাপন অনুসারে পাঁচ বছর মেয়াদী পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১৩ দশমিক ৪৫ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, পাঁচ বছর মেয়াদী পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১৩ দশমিক ১৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং তিন বছর মেয়াদী তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৫৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।অন্যদিকে তিন বছর মেয়াদী ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের ক্ষেত্রে ১৩ দশমিক ২৪ থেকে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ১৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।এমইউএইচ/এসআর
Advertisement