প্রতিযোগিতার নিয়ম সেমিফাইনালে উঠলেই পদক। সেমির চৌকাঠ টপকাতে না পারলে ব্রোঞ্জ। জিতলে রৌপ্য নিশ্চিত, থাকবে স্বর্ণ জয়েরও সম্ভাবনা। ইসলামী সলিডারিটি গেমসে ব্রোঞ্জ পাওয়ার সে নিয়মেই আরেকটি পদক উঠলো বাংলাদেশের নামের পাশে। আর পদকটি পেলেন কুস্তিগীর শিরিন সুলতানা ৬৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে। এ নিয়ে ইসলামী সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশ পদক হলো তিনটি। আগে শ্যুটাররা এনে দিয়েছিলেন একটি স্বর্ণ ও একটি রৌপ্য।
Advertisement
বাকুতে শিরিনের ইভেন্টে প্রতিযোগী ছিলেন মাত্র ৬ জন। অর্থাৎ কোয়ার্টার ফাইনাল শুরুতেই। সেখানে পেলেন বাই। না খেলেই উঠে গেলেন সেমিতে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শিরিন প্রতিপক্ষ পেয়েছিলেন কাজাখস্তানের জামিলা বাকবারজেনোভাকে। কোনো পাত্তাই পাননি বাংলাদেশের কুস্তিগীর। হেরেছেন ১০-০ পয়েন্টে। ৬ মিনিটের খেলায় শিরিন ভূপাতিত মাত্র ৪৮ সেকেন্ডেই!
মানে আন্তর্জাতিক গেমসে অংশ নিয়ে না জিতেই একটি পদক নিয়ে ফিরছেন এ নারী কুস্তিগীর। ভাগ্যগুণে পদক পাওয়ার পরও বাকুতে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কাছে ‘আসলে এটা অনেক বড় একটা প্রতিযোগিতা। একটা পদকের জন্যই এতদিন ধরে দেশে অনুশীলন করেছি, অবশেষে সেটি পেয়েছি । আমাদের নিজস্ব কোনো ভেন্যু নেই, প্র্যাকটিসের সরঞ্জাম নেই, ভালোমানের কোন কোচ নেই। অনেক কষ্ট করে খেলতে হয় আমাদের। বিদেশে এলেই বোঝা যায় আমরা অন্যদের চেয়ে কতটা পেছনে পড়ে রয়েছি।’
কুস্তিতে পদক মিললেও জুরখানে প্রতিযোগিতায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। পুরুষ এককে সাং ইভেন্টে আলী আমজাদ ৯ জনের মধ্যে হয়েছেন ষষ্ঠ। তিনি পেয়েছেন ৮৮.৫ পয়েন্ট। ৩২৯ পয়েন্ট পেয়ে দলগত ইভেন্টে আট দেশের মধ্যে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
Advertisement
আরআই/এমআর/জেআইএম