রাজধানী বনানীর আলোচিত ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণের কথা অস্বীকার করেছেন মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।
Advertisement
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বিল্লাল। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে বিল্লাল হোসেন জানান, ওই দিন টয়লেটে থেকে তিনি দুই তরুণীর বন্ধু শাহরিয়ারকে মারধরের ভিডিও ধারণ করেন। সাফাত তাকে ভয় দেখিয়ে মারধর করেন।
তবে টয়লেট থেকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণের কোনো তথ্য আদালতকে দেননি বিল্লাল। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
এদিন চার দিনের রিমান্ড শেষে বিল্লালকে আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
১৫ মে রাজধানীর নবাবপুর রোডের ইব্রাহীম হোটেল থেকে বিল্লালকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন আদালতের মাধ্যমে বিল্লালকে চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আহসান হাবিবের আদালতে সাফাত আহমেদ এবং সাদমান সাকিফ হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ বলেন, ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে হোটেল পিকাসোতে ভিকটিম দুই তরুণীর সঙ্গে বন্ধু সাদমান সাকিফের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সঙ্গে মোবাইলে কথা হতো।
Advertisement
২৮ মার্চ বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ওই হোটেলে দুই তরুণীকে আমন্ত্রণ করেন সাদমান। পার্টিতে আসার পর তারা সুইমিংপুলে গোসল করেন। গোসল শেষে জন্মদিনের কেক কাটেন।
এরপর দুই তরুণীকে নিয়ে সাফাত ও নাঈম পৃথক দুটি রুমে যান। রুমে কথা বলতে বলতে দুই তরুণীর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হন তারা। একপর্যায়ে তারা দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ (সিরাজগঞ্জের আবদুল হালিম) ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুই তরুণী।
গত ১১ মে রাতে সিলেট থেকে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করা হয়। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলার প্রধান আসামি সাফাতের বিরুদ্ধে ছয়দিন এবং সাদমানের বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম।
ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফকে (সিরাজগঞ্জের আবদুল হালিম) মুন্সীগঞ্জ থেকে ১৭ মে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দা পুলিশ। পরের দিন তাকে আদালতের মাধ্যেমে সাতদিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সংস্থা (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট।
জেএ/এমএআর/জেআইএম