মাদ্রিদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ঐতিহাসিক স্থান, প্লাজা ডি সিবেলেস। ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিচিত রিয়াল মাদ্রিদের কারণে। ক্লাবটির যে কোনো সাফল্য উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু প্লাজা ডি সিবেলেস। মাদ্রিদের ঐতিহাসিক এই স্থানটিতে জড়ো হয় হাজার হাজার মাদ্রিদ সমর্থক। তাদের মাঝে ট্রফি নিয়ে ছাদখোলা বাসে করে এসে হাজির হন রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলাররা। এরপর সমর্থকদের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে গা ভাসিয়ে দেন তারা।
Advertisement
আজও এমন এক উৎসবের জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে প্লাজা ডি সিবেলেস। তবে সবকিছুই নিভর করছে এক অজানা অনিশ্চয়তার ওপর। লা রোজালেদায় স্বাগতিক মালাগার বিপক্ষে ইতিবাচক ফল আসলেই কেবল জ্বলে উঠবে এই উৎসবের বাতি। মালাগার বিপক্ষে জিততে হবে, নয়তো বড়জোর ড্র করতে হবে রিয়াল মাদ্রিদকে। তবেই ২০১১-১২ সালের পর লা লিগা জয়ের স্বাদ নিতে পারবে লজ ব্লাঙ্কোজরা।
৩৭ ম্যাচে প্রতিদ্বন্দী বার্সেলোনার চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ ম্যাচে কোনোভাবেই হারা যাবে না রিয়াল মাদ্রিদকে। কারণ, রিয়ালের একটি হার এবং এইবারের বিপক্ষে জয়- উল্টো বার্সেলোনাকে শিরোপা উপহার দিয়ে দিতে পারে। সুতরাং, এই ঝুঁকি কোনোভাবেই নিতে চায় না রিয়াল। মালাগার বিপক্ষে জিততেই হবে তাদের। বড়জোর ড্র করার পরিকল্পনা।
লা রোজালেদায় রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচটি শেষ হবে স্প্যানিশ সময় রাত ১০টায়। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই তারা সোজা চলে আসবে মাদ্রিদে। ছাদখোলা বাস তৈরি করাই থাকবে। বিমান বন্দর থেকে সেই ছাদখোলা বাসে করে রোনালদো-বেলরা চলে যাবে প্লাজা ডি সিবেলেসে। সমর্থকদের সঙ্গে মেতে উঠবে আনন্দ উৎসবে।
Advertisement
পরের দিন নিজেদের হোমভেন্যু সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে উৎসব করার কথা রিয়াল মাদ্রিদের; কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ আপাতত সোমবারের এই উৎসব বাতিল করে দিয়েছে। তারা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর উৎসবটা করতে চায় আরও পরে। কার্ডিফে জুভেন্তাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের পরই বার্নাব্যুতে উৎসবে মেতে উঠতে চায় লজ ব্লাঙ্কোজরা। আপাতত, সে পর্যন্ত অপেক্ষা।
আইএইচএস/জেআইএম