রীতিমত অবিশ্বাস্য! বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ৩৩৯ রান করার পরও হেরে গেলো মোহামেডান। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মতিঝিলের ক্লাবটিকে হারিয়ে দিলো ১ উইকেটের ব্যবধানে। সে সঙ্গে অবিশ্বাস্য এই জয়ে সুপার লিগে খেলা নিশ্চিত করলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
Advertisement
সুপার লিগে খেলতে হলে মোহামেডানের বিপক্ষে অবশ্যই জিততে হবে শেখ জামালকে। এমন সমীকরণ সামনে রেখে টস জিতে সাদা-কালো শিবিরকেই প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল রাজিন সালেহের দল। শামসুর রহমান শুভ এবং রনি তালুকদারের জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩৩৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে মোহামেডান।
জবাব দিতে নেমে শেখ জামালের ব্যাটসম্যানরা ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া’র মত মরণ কামড় দিয়ে বসে মোহামেডানের বোলারদের ওপর। তাতেই বাজিমাত করে বসে দলটির ব্যাটসম্যানরা। তিনটি ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে ২ বল হাতে রেখেই ১ উইকেটে জয় তুলে নেয় শেখ জামাল।
দুই ওপেনারই প্রথম থেকে ঝড় তুলতে শুরু করেছিলেন। ফজলে রাব্বি আর প্রসান্ত চোপড়া মিলে ৬.৩ ওভারেই তুলে ফেলেন ৫৮ রান। ২০ বলে ২৮ রান করে এ সময় ফজলে রাব্বি আউট হয়ে যাওয়ার পর তিন নম্বরে নামা রাসেল আল মামুন ক্রিজে নেমেই ফিরে যান সাজঘরে। তৃতীয় উইকেটে সোহাগ গাজীকে নিয়ে জুটি বাধেন প্রসান্ত চোপড়া। ৯৬ রানের জুটি গড়ার পর আউট হয়ে যান প্রসান্ত। ৬০ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৮৬ রান করেন তিনি।
Advertisement
সোহাগ গাজী করেন ৬৪ বলে ৮৯ রান। তার ইনিংসে ছিল ৮টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কার মার। মূলতঃ সোহাগ গাজী আর প্রসান্ত চোপড়ার দুটি ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। শেষ দিকে এসে মোহামেডানের বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন তানভির হায়দার। ৭২ বলে ৬টি বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় ৭৭ রান করেন তিনি।
৪৫ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ইলিয়াস সানি। শেষ দিকে মোহামেডানের বোলার মোহাম্মদ আজিম শেখ জামাল শিবিরে কিছুটা আতঙ্ক ছড়াতে সক্ষম হলেও ২ বল বাকি থাকতে অনায়াসেই জয় তুলে নেয় ধানমন্ডির ক্লাবটি। মোহাম্মদ আজিম ১০ ওভারে ৭০ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তাইজুল ইসলাম এবং এনামুল হক জুনিয়র নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শামসুর রহমান শুভর ১৫২ বল ১৪৪ এবং রনি তালুকদারের ৯৯ বলে ১১০ রানের ওপর ভর করে ৩৩৯ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সৈকত আলি ২৮ বলে করেন ৩৯ রান। নাজমুল মিলন ৯ বলে করেন ২১ রান।
আইএইচএস/আরআইপি/জেআইএম
Advertisement