একজন গুণী শিক্ষকের চেয়ে সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ বেশি পরিচিত ছিলেন ভাস্কর হিসেবে। দীর্ঘ কর্ম জীবনে জাতির উত্থান-পতন, শৌর্য, বীরত্ব, ঘুরে দাঁড়ানো কিংবা হার না মানার চিরকালীন প্রতীক স্বরূপ তৈরি করেছেন অনেক ভাস্কর্য। তবে অসংখ্য শিল্পকর্মের মধ্যে বাঙালির কাছে বেশি সম্মানিত হন ‘অপরাজেয় বাংলা’র সুনিপুণ কারিগর হিসেবে।
Advertisement
শনিবার রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। শোকাতুর বাঙালি শ্রদ্ধা অবনত এ মহান শিল্পীর প্রতি। ফুলেল শ্রদ্ধায় বিদায় জানিয়েছে প্রিয় ভাস্করকে। নিজের অনন্য সৃষ্টিকর্ম অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকেই রোববার দুপুরে তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সাংসদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতা, ভাস্কর ও সাধারণ মানুষ।
রাষ্ট্রের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে যেন শোকাতুর অপরাজেয় বাংলাও। বিদায় বেলার কষ্ট ফুটে উঠছে ঢাবি কলা ভবনের সামনের এই ভাস্কর্যেও। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে যেন নিজ রাষ্ট্রের প্রতি শ্রদ্ধাবনত। সেই সঙ্গে ফুটে উঠছে, মরেও মরেনি আব্দুল্লাহ খালিদ। তিনি বেঁচে থাকবেন ভাস্কর্যে, যুগ যুগ ধরে প্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবেন কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে।
Advertisement
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেছেন, বাংলাদেশে ভাস্কর্যের জন্য সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ যা করে গেছেন তা প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে আমাদের কাছে। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা কখনো পূরণ হবার নয়।
অপরাজেয় বাংলা থেকে মরহুমের মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। জোহরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন সিনিয়র খতিব মাওলানা এমদাদুল হক।
এমএইচ/এমএমজেড/জেআইএম
Advertisement